যা খেলে কমবে গলা ব্যথা-গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত

গ্রীষ্মকাল শেষ হয়ে যখন শীতের শুরু হয় তখনই ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেকেরই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন হালকা জ্বর,কাশি, সর্দি,গলা ব্যথা ইত্যাদি। অনেক সময় হালকা জ্বর তীব্র জ্বরের আকারে রূপ ধারণ করে এবং প্রচুর পরিমাণে কাশি হয়। আর কাশি থেকে শুরু হয় প্রচন্ড পরিমাণে গলা ব্যথা। যা একেবারেই অসহনীয়। সেক্ষেত্রে গলা ব্যথা কমাতে হলে আপনি কি খাবেন? গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত?

আজকের এই আর্টিকেলে আমি গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকে যে খাবার গুলোর কথা আপনাদেরকে বলবো সে খাবারগুলো যদি আপনারা খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের গলা ব্যথা এক নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। তাই খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। 

গ্রীষ্মকাল শেষ হয়ে যখন শীতের শুরু হয় তখনই ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেকেরই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন হালকা জ্বর,কাশি, সর্দি,গলা ব্যথা ইত্যাদি। অনেক সময় হালকা জ্বর তীব্র জ্বরের আকারে রূপ ধারণ করে এবং প্রচুর পরিমাণে কাশি হয়। আর কাশি থেকে শুরু হয় প্রচন্ড পরিমাণে গলা ব্যথা। যা একেবারেই অসহনীয়। সেক্ষেত্রে গলা ব্যথা কমাতে হলে আপনি কি খাবেন? গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত?
{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানার আগে একটু জেনে নেওয়া দরকার, ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় কি। অর্থাৎ যখন প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডার কারণে আমাদের গলা ব্যথা করবে তখন আমাদের কি করা দরকার।

আবহাওয়া এবং ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরেরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা। মূলত ঠান্ডার কারণেই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। 

আমাদের তখন উচিত হবে ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা। কেননা অতিরিক্ত পানি স্পর্শ করার কারণে অনেক সময় ঠান্ডা আরো বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে গলা ব্যথাও বাড়তে পারে। ঠান্ডার কারণে যখনই অতিরিক্ত গলা ব্যথা করবে তখনই চেষ্টা করবেন কিছুক্ষণ পর পর হালকা কুশুম গরম পানি পান করার। বিশেষ করে গরম রংচা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে যেমন সর্দি ও কাশি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। তার পাশাপাশি ঠান্ডার কারণে যে গলা ব্যথা করছে সেটিও কিছুটা দূর হবে।

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত

গ্রীষ্মকাল শেষের পর শীত আসতে না আসতেই আমাদের মাঝে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ধরুন সর্দি,কাশি বিশেষ করে সর্দি কাশির সাথে গলা ব্যথা। তীব্র গলা ব্যাথার কারণে অনেকেই ঢোক গিলতে পারে না। যেটি একেবারে অসহনীয় একটি বিষয়। গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত তা নিম্নে দেওয়া হল:-

  • মধুঃ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে যখনই গলা ব্যথা হবে, তখন সেই ব্যথা দূরীকরণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে মধু। মধুতে আছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা আপনার গলারঝিল্লিতে তৈরি হওয়া ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে একেবারে ধ্বংস করতে সক্ষম। সুতরাং যখনই আপনার গলা প্রচন্ড পরিমানে ব্যথা করবে, চেষ্টা করবেন প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন চামচ করে মধু সেবন করতে। 
  • আদা চাঃ আমরা কমবেশি সকলেই সর্দি এবং কাশি হলে সাধারণত রং চা খেয়ে থাকি। তবে রং চা পাশাপাশি আপনি যদি আদা চা খান এটিও আপনার গলা ব্যথা দূরীকরণে প্রচুর পরিমাণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে
  • লবণ দিয়ে গরমপানিঃ গলা ব্যথা দূরীকরণে নুন মিশ্রিত গরম পানির কোনো বিকল্প নেই। যখনই আপনার সর্দি কাশি হবে এবং কাশির সাথে প্রচণ্ড পরিমাণ গলা ব্যথা করবে, তখন চেষ্টা করবেন প্রতি এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর গরম পানির সাথে নুন মিশিয়ে গার্গল করতে।এবং গার্গল করার পাশাপাশি কিছুটা পরিমাণ পানি আপনি খেয়েও নিবেন। এর ফলে গলায় আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো দ্রুতই ধ্বংস হয়ে যাবে। পাশাপাশি কাশিটাও কিছুটা কমে আসবে আর গলা ব্যথা ও কিছুটা কমে আসবে। 
  • রসুনঃ রসুনও সর্দিকাশির পাশাপাশি গলা ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করে। রসুনে আছে এলিসিন নামক উপাদান। যা গলা ব্যথা দূরীকরণের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। 
  • দারচিনিঃ দারুচিনিতে রয়েছে আশ্চর্য ধরনের ভেষজ গুণাবলী। বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম এই দারচিনি। আর এই দারচিনি খেলে গলা ব্যথা ও কিছুটা উপশম হয়। তাই গলা ব্যথা দূর করতে হলে দারচিনি চিবিয়ে চিবিয়ে গরম পানির সাথে মিলে খান।

গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে তো ধারণা পেয়ে গেলেন। এবার অনেকেই জানতে চায় গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আছে কিনা। আসলে যখন গলা ব্যথা করবে তখন শুরুর দিকে ওষুধ সেবন না করে চেষ্টা করবেন ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে গলা ব্যথাটা দূর করান। অনেকেই আছে যারা গলার ব্যথা সহ্য করতে না পারে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে যান এবং ওষুধ সেবন করে নেন।

মূলত যখনই আমাদের ঠান্ডা এবং সর্দি কাশি হবে সে সাথে যদি গলা ব্যথা হয় তখন চেষ্টা করব ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এগুলো দূর করার। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার পরও যদি গলা ব্যথা না কমে এবং সর্দি-কাশি না কমে, তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। কিন্তু শুরুর দিকে ওষুধ সেবন করা ঠিক না। গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় দুটি নিম্নে দেওয়া হল:-

১) মধু ও গোলমরিচ: গলা ব্যথা হলেই শুরুতেই আমরা যে জিনিসটি করি সেটি হল গরম পানি সেবন করি। আবার অনেকেই কিছু না খেয়েই গলার ব্যথায় একেবারে কাবু হয়ে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে মধু এবং গোলমরিচের মিশ্রণ যদি খাওয়া যায় তাহলে সেটি গলা ব্যথা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। যেটি গলার ভিতরে থাকা ভাইরাসগুলোকে নষ্ট করে দিবে। এর পাশাপাশি গোলমরিচের মধ্যেও রয়েছে অনেক গুনাগুন। এই দুইয়ের মিশ্রণ যখনই আপনি সেবন করবেন, তখন আপনার গলা ব্যথা দূর হবেই। তাই গলা ব্যথা হলে গলা ব্যথা দূর করার উপায় হিসেবে এই ঘরোয়া উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।

২) হলুদ ও দুধ: গলা ব্যথার পাশাপাশি যে কোন ধরনের সংক্রমণ দূরীকরণে হলুদের আছে জুড়ি মেলা ভার। গরম দুধ এবং হলুদের মিশ্রণ খেলে আপনার গলা ব্যথা দূর হবে। তাই গরম দুধের মধ্যে বেশ কিছুটা পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে সেটি ঘুমের আগে সেবন করুন এবং এটি কিছুটা আপনাকে স্বস্তি প্রদান করবে। এবং আপনার গলা ব্যথা দূর করতেও একটি বেশ সাহায্য করবে।

দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ওষুধ

যারাই গলা ব্যথায় ভুগছেন তারা গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি এটিও জানতে চাই যে দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ওষুধ কি? যখনই প্রচন্ড পরিমাণ গলা ব্যথা করবে, ঘরোয়া কোন উপায়ও কাজ হবে না, তখন কোন ওষুধটি খেলে দ্রুত গলা ব্যথা কমে যাবে এমনটা অনেকেই জানতে চায়। দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ওষুধ হল ই-ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট (E-fix 100mg tablet).

এই ট্যাবলেটটি মূলত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্যই ব্যবহার করা হয়। আমাদের গলার মধ্যে যখনই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস জমে যায় তখনই আমাদের কাশির সাথে গলা ব্যাথা শুরু হয়।

আর এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং হত্যা করতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি মূলত ব্রংকাইটিস এর সংক্রমনের পাশাপাশি বলা ব্যথা দূরীকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

এটির সেবন পদ্ধতি হলো দিনে দুইবার খেতে হবে। তবে প্রচন্ড গলা ব্যাথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ নিতে হবে

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করব আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তবে অবশ্যই এটি বেশি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *