পাসপোর্ট করার নিয়ম

আজকে আমরা এই আর্টিকেলে পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানবো।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার নিয়ম প্রতিবছরে পরিবর্তন হতে পারে, তবে সাধারণত পাসপোর্ট করার নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

১. পাসপোর্ট আবেদন ফরম: প্রথমে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরমটি বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://passport.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসের কাউন্টার থেকে প্রাপ্ত করা যায়। ফরমটি পূরণের সময় সঠিক ও নিয়মিত ভাষা ও তথ্য প্রদান করতে হবে।

২. আবেদন পত্র জমা: পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের পর আবেদন পত্রটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। নিজের সঠিক পরিচয়পত্র (যেমন: জন্ম সনদ, ন্যাশনাল আইডি কার্ড) সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে। এছাড়াও, অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিস্থল ইত্যাদি সম্পূর্ণ করতে হবে। জমার পর আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করা হয়ে যাবে।

৩. ফটো: পাসপোর্টের জন্য একটি সঠিক ফটো প্রয়োজন হবে। এটি নির্ধারিত আকার এবং আকারের হতে হবে এবং পাসপোর্টে ছবিটির সাথে সম্পূর্ণ মুখ ও চোখ স্পষ্টভাবে দেখতে হবে।


ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার জন্য কোন কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না, উপরিউক্ত আলোচনায় বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে। তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করতে কিছু কাগজপত্র চেয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মূল জাতীয় পরিচয় পত্র, ই পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি, নাগরিক সনদ।

উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়াও আরো বেশকিছু কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে নিতে হয়। ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:- 


  • জাতীয় পরিচয়পত্র / অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ই পাসপোর্ট আবেদন কপি
  • আবেদন সামারী (Application Summery)
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (গ্যাস/বিদ্যুৎ)
  • পিতা-মাতার NID কার্ডের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
  • নাগরিক সনদ অথবা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
  • পেশাজীবী প্রমাণপত্র


ই-পাসপোর্ট ফি

। 

উপরে উল্লেখিত ই-পাসপোর্ট সরকারি ফি ব্যতীত পাসপোর্ট অফিসে অতিরিক্ত আর কোন ফি নেই। তবে আবেদন করতে ফি প্রয়োজন পড়বে। আবেদন করার জন্য কম্পিউটারের দোকানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে। 


ই-পাসপোর্ট করতে খরচ

৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারিতে পেতে ৪০২৫টাকা। এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৬৩২৫ টাকা ও সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৮৬২৫ টাকা খরচ পড়ে। এরকমভাবে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ডেলিভারির সময় এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ই পাসপোর্ট ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় ই-পাসপোর্ট চালু রয়েছে। আপনি যাচাই করে নিতে পারেন, আপনার জেলায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু রয়েছে কিনা।


পাসপোর্ট করার নিয়ম 

আপনাদের সেবায় আমরা সর্বদা নিয়োজিত। আপনাদের কাজ সহজ করার জন্য আমরা কিভাবে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তা নিচে দেখিয়ে দিচ্ছি।


পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

ধাপ-১

প্রথমে নিন্মের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

https://www.epassport.gov.bd/landing

এরপর "Apply Online for a e-passport" অপশনে ক্লিক করুন। তারপর অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে। ভালোভাবে অপশনগুলো লক্ষ্য করুন। 

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

ধাপ-২ 

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করুন

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করে থাকেন তাহলে Are you applying from Bangladesh?  এর জায়গায় "Yes" সিলেক্ট করুন। যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেন তাহলে "No" নির্বাচন করুন। 

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

তারপর আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম ও থানার নাম লিখুন। তারপর আপনার দেওয়া ঠিকানা অনুসারে যেই ই-পাসপোর্ট অফিস,  ই-পাসপোর্ট প্রদান করে সেটির নাম দিন। 

পাসপোর্ট অফিসের নাম সিলেক্ট করার পর পুলিশ স্টেশনের নাম মানে থানার নাম সিলেক্ট করুন। 


ধাপ-৩

ই-মেইল ভেরিফিকেশন

দ্বিতীয় ভাগ শেষ করার পর আপনাকে একটি ই-মেইল এড্রেস দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে ই-মেইলটি ব্যবহার করেন সেটি দিন। তারপর ক্যাপচা সঠিক ভাবে দিয়ে ভেরিফাই করুন। 

পাসপোর্ট করার নিয়ম

ধাপ-৪ 

একাউন্ট তৈরি করুন

ই-মেইল এড্রেস দেওয়ার পর, বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম এবং সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিন। অবশ্যই মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট করবেন। 

ওয়েবসাইট থেকে ই-মেইল ভেরিফাই করতে একটি কোড পাঠানো হবে। সেটি দিন, একাউন্ট হয়ে যাবে। 


ধাপ-৫ 

কি ধরণের পাসপোর্ট করবেন সেটা বাছাই

সাধারণত দুই ধরনের পাসপোর্ট দেখা যায় একটি হলো অর্ডিনারি টাইপ পাসপোর্ট এবং অন্যটি হলো অফিসিয়াল টাইপ পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

"passport type" অপশনে অর্ডিনারি টাইপ সিলেক্ট করবেন।

সাধারণ নাগরিক হলে আবেদনের ক্ষেত্রে Ordinary type নির্বাচন করা লাগে। 


দুই ধরণের পাসপোর্টের নাম হলো:- 

  1. Ordinary passport 
  2. Official passport 


ধাপ-৬ 

ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ 

এবার আপনার সামনে একটি ফর্ম দেখতে পাবেন, মূলত পাসপোর্ট করার মূল কাজটি এখান থেকেই শুরু। 

আপনি আপনার নাম, লিঙ্গ, পেশা, ধর্ম দেশের নাম, জন্মস্থান এবং জন্মতারিখ পূরণ করুন।

জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে প্রথমে তারিখ তারপর মাস তারপর বছর দিন।

পাসপোর্ট করার নিয়ম

তারপর নিচের দিকে দেখুন আপনার জন্মগত সূত্র বা  নাগরিকত্বের সূত্র জানতে যাওয়া হবে। আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে By Birth অপশন সিলেক্ট করুন। তারপর save and continue তে চাপ দিন। 


ধাপ-৭ 

ঠিকানা নির্বাচন ও ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলোর মধ্যে প্রথম কাজ হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা ভেরিফিকেশনের জন্য পাসপোর্ট  যে করবে সেই ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের পেছনে যেভাবে ঠিকানা থাকে সেভাবে ঠিকানা পূরণ করতে হবে।

ঠিকানা পূরণের ক্ষেত্রে নিচের পয়েন্ট গুলো খেয়াল অবশ্যই করবেন:-

  • জেলার নাম
  • থানার নাম
  • গ্রামের নাম
  • রোড নাম্বার
  • পোস্ট অফিস
  • পোস্ট কোড


প্রত্যেকটি তথ্য যাচাই-বাছাই করে সঠিক ভাবে দিবেন অবশ্যই। বিশেষ করে সবগুলো ঠিকানা গুরুত্ব দিয়ে লিখবেন। কারণ আপনার দেয়া এই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে "Present Address same as Permanent" এটি নির্বাচন করে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় একই ঠিকানা বসে যাবে।


বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে আপনার ঠিকানা আলাদা ভাবে ইনপুট করে দিতে হবে। ঠিকানা দুটি ভিন্ন হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা থানা ভেরিফিকেশন উভয় ঠিকানায় হবে।


ধাপ-৮

ID documents

এই ধাপে আপনার আগের কোন পাসপোর্ট ছিল কিনা এই বিষয়ে জানতে হবে। আপনার আগে যদি কোন MRP Passport বা ই পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেটি সিলেক্ট  করুন। আর যদি একেবারে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে "No, I don't have any previous passport" এটি সিলেক্ট করুন। যাদের হাতের লিখা পাসপোর্ট ছিলো তারাও এই অপশন সিলেক্ট করবেন।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ঐ পাসপোর্ট সম্পর্কে তথ্য দিয়ে হবে। আর যদি না থাকে তাহলে "No, I don't have" সিলেক্ট করুন।


ID Documents এর সর্বশেষ ঘরে ব্যাক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিতে হবে। আবেদনকারীর ব্যাক্তির বয়স ২০ বছরের কম হলে NID card অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ব্যাবহার করতে পারবেন। তথ্য প্রদান হয়ে গেলে সেইভ বাটনে চেপে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।


ধাপ-৯

বাবা-মার তথ্য

এই অপশনে আপনাকে আপনার পিতা মাতার তথ্য দিতে হবে। ই-পাসপোর্টের Parental information জায়গায় পিতা-মাতার নাম, তাদের পেশা, তাদের জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হয়।

বাবা-মায়ের যে সকল তথ্য অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে প্রয়োজন তা লিস্ট আকারে উপস্থাপন করে দিয়েছি আমি।

  • পিতার নাম (NID card অনুযায়ী) 
  • পেশা
  • পিতার  জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার
  • মাতার নাম (NID card অনুযায়ী) 
  • পেশা
  • মাতার জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার


ধাপ-১০

বৈবাহিক অবস্থা (Martial Status)

আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা অনুসারে বিবাহিত না অবিবাহিত এই তথ্য প্রদান করতে হবে। এই পর্যায়ে আপনি Marital Status বাছাই করার জন্য একটি ড্রপ-ডাউন মেনু পাবেন। ড্রপ-ডাউন অপশন গুলো থেকে আপনার জন্য যেটি প্রযোজ্য তা বাছাই করুন।

বৈবাহিক আবস্থার ঘরে SINGLE, MARRIED, DIVORCED,WIDOWER or WIDOW এই অপশন গুলো থাকে। এখান থেকে আপনার অবস্থা অনুসারে একটি অপশন বাসাই করুন।


ধাপ-১১

Emergency  Contact

জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য একজনের তথ্য দিতে হবে। পরিবারের সদস্য যেমন বাবা, মা কিংবা ভাইয়ের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে যার সাথে যোগাযোগ করবে, তার ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্রে যে ভাবে আছে সে ভাবে দেয়া ভালো।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর ক্ষেত্রে Emergency contact নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়। তা ছাড়া কোন কারণে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বার্থ হলে এই ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করা হবে।


ধাপ-১২

পাসপোর্টের ধরন

Passport Option বা পাসপোর্টের ধরনে আপনি  আপনার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা ও মেয়াদ বাছাই করতে পারেন। আপনার বিদেশ ভ্রমণ ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা আনুসারে ৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ৬৪ পৃষ্ঠার যে কোন একটি বাছাই  করুন। আপনি যদি খুব বেশি ট্রাভেল করে থাকেন থাহলে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে পারেন। অন্যথা ৪৮ পৃষ্ঠাই যথেষ্ট।

পৃষ্ঠা সংখ্যা নির্ধারণ হয়ে গেলে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে। ৫ বছর কিংবা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করা যায়। আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট এর মেয়াদ নির্বাচন করুন। মনে রাকবেন পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদের উপর ই পাসপোর্ট ফি নির্ধারিত হবে।


ধাপ-১৩

ডেলিভারির ধরন

পাসপোর্ট ডেলিভারি ৩ ধরনের হয়ে থাকে রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস। জরুরি বা ইমেরজেন্সি পাসপোর্ট করতে Express Delivery বা Super Express বাছাই করতে পারেন।

Regular Delivery

রেগুলার ডেলিভারিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে সাধারণত ১৫ দিন থেক ২০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য বিষয় যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই ই-পাসপোর্ট হাতে চলে আসে।

Express Delivery

যারা জরুরি কাজে বিদেশ যাবে, আল্প সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেতে হবে, তাদের জন্য এক্সপ্রেস ডেলিভারি অপশন। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই Express Delivery তে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

Super Express

এটি অনলাইনে করা যায় না। সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। তার সাথে সাথে Pre-Police verification এর প্রয়োজন হয়। এতে ৭ দিনের ও কম সময়ে পাসপোর্ট বের হয়ে যায়।


ধাপ-১৪

ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান

আবেদন সাবমিট করার আগে আবেদন সামারি থেক আপনার তথ্য গুলো পুনরায় যাচাই করে নিন। সবকিছু ঠিক থাকলে পাসপোর্ট ফি প্রদান করার পেজে চলে আসবেন। বর্তমানে ই পাসপোর্ট ফি ২ ভাবে প্রদান করা যায়।

  1. Online Payment
  2. Offline Payment

ই পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ফি প্রদান করার জন্য যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং, ই-ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। অনলিনে ফি প্রদানের ক্ষেত্রে আল্প কিছু চার্জ প্রযোজ্য হয়। অনলাইন পেমেন্ট শেষে পেমেন্ট স্লিপ প্রিন্ট করে নিতে হবে।

অফলাইনে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ফি জমা নেয় এমন ব্যাংক গিয়ে ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে। ব্যাংক ড্রাফট করার জন্য আপনার আপ্লিকেশন সামারি সাথে করে নিয়ে জেতে হবে। অফলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দিয়ে আতরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না। সোনালী ব্যাংক, NTRC ব্যাংক সহ আরো কিছু ব্যাংক ই পাসপোর্ট ফি জমা নেয়।


ধাপ-১৫

আবেদন কপি ও অ্যাপ্লিকেশন সামারি প্রিন্ট

পাসপোর্টের আবেদনটি সঠিকভাবে সাবমিট হয়ে গেলে আপনি আবেদনের কপি এবং Application summery প্রিন্ট অথবা pdf আকারে সংগ্রহ করতে হবে।

পাসপোর্টের আবেদন কপি প্রিন্ট

পাসপোর্ট আবেদন কপি ও অ্যাপ্লিকেশন সামারি প্রিন্ট

অনলাইন আবেদন এবং পাসপোর্ট ফি প্রদান হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিসে যেতে হবে। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে আপনার বায়মেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে। তারপর আপনাকে পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হবে। এই ডেলিভারি স্লিপ পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে কাজে লাগবে।

Previous Post Next Post