ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে কোন আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, কবিতাটি সেই গণজাগরণের পটভূমিতে রচিত। ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ক্রমধারায় ছাত্র অসন্তোষ কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন ১৯৬৯ সালে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের রূপ নেয়। আমাদের দেওয়া নিচে উল্লেখিত বিষয়বস্তু পড়লে আপনারা আপনাদের পরীক্ষায় কিছুটা হলেও কমন পাবেন তাই দেরি না করে এখনই প্রশ্নগুলো এবং উত্তর পড়ে নেন।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ১

প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে রোমার নজর পরে আম গাছের দিকে। ওদিকে তাকাতে তার মনে পড়ে তার প্রতিবাদী বুবুর কথা। কেননা এই গাছটাতেই বুবুর ইনার গলায় দড়ি দেওয়া লাশ পাওয়া গেছে। কয়েকটা বখাটে যুবকটাকে প্রায় বিরক্ত করতো। তাই একদিন সে প্রতিবাদ করেছিলে এবং জুতো দেখিয়েছিল। সেই কারণে পরের দিনই তার প্রতিবাদী বুবু রিনার লাশ এই গাছটাতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ক. কমলবন শব্দটির অর্থ কি?

খ. সারাদেশে ঘাতকের অশুভ আস্তানা - বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

গ.উদ্দীপকে চেতনা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার কোন বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের রিনা আর ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা শহীদরা একই প্রতিবাদের মুর্ত প্রতীক_ উক্তিটি যথার্থতা মূল্যায়ন কর।


Read More : এইচএসসি প্রশ্ন ব্যাংক ২০২৪ - রসায়ন প্রথম পত্র অধ্যায় ৩ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 


ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ১ এর উওর

ক. কমল বন শব্দটির অর্থ পদ্মবন।

খ. সারা দেশ ঘাতকের অশুভ আস্তানা বলতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও অত্যাচার যে সারা বাংলা ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলার মানুষের শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি সকল বিষয়ের অধিকার হরণ করে তাদের অত্যাচারে - শোষনে জর্জরিত হয় বাংলার প্রতিটি মানুষ। এভাবেই সারা বাংলা পরিণত হয় তাদের আস্তানায়।

গ. উদ্দীপকের ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর কবিতা যে বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সেটি হল ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।

উদ্দীপকে একজন প্রতিবাদী নারী চরিত্র রিনার কথা স্মরণ করা হয়েছে। রুমা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসার সময় পথে আম গাছের দিকে তাকায়। এই গাছটির দিকে তাকালেই তার রিনা বুবুর কথা মনে পড়ে কারণ এই গাছেতেই তার দড়ি দেওয়া লাশ পাওয়া গিয়েছিল। কয়েক জন বখাটে যুবক তাকে প্রায় উত্তপ্ত করত দিন সে প্রতিবাদ করেছিল এবং জুতো দেখিয়েছিল। কারন পরের দিনই তার প্রতিবাদী বুবুর লাশ ওই গেছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। শুধু প্রতিবাদ করার কারণে তাকে এ করুন পরিনিতি করতে হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর কবিতাতেও শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানি সরকারের শোষক ও ডিপিরনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৯৬৯রে চিত্র শ্রেণির পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনা অসাধারণ চিত্রকলা এখানে অঙ্কিত হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে রক্ত দিতে হয়েছে জনগণকে। এই একই চেতনা দেখা যায় উদ্দীপকে রিনার ক্ষেত্রেও।

ঘ. উদ্দীপকেরই না আর ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা শহীদরা একই প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক - উক্তিটি যথার্থ

উদ্দীপকে রিনাকে কয়েকজন বকাটে বিরক্ত করতো। তাই একদিন রিনা প্রতিবাদ করে এবং তাদেরকে জুতো দেখায়। সেই কারণে পরের দিন আল্লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে বখাটেরা তাকে মেরে ফেলে। কিন্তু রিনা সকলের কাছে প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা সংগ্রামী চেতনা প্রকাশিত হয়েছে অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। শহরের পথে পথে থরে থরে ফুটে থাকে কৃষ্ণচূড়া লাল রং আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনের শহীদ হওয়ার বিরদের কথা। তাই এই লাল রং কে আমাদের চেতনার রং বলা হয়। পাকিস্তানিদের অত্যাচারে হিরা যখন অতিষ্ঠ তখন ঘাতকের অশুভ আস্তানা ভেঙে দিতে এদেশের সাধারণ মানুষ উৎসর্গ করে। তারা মাথা নত রেখে অন্যায় সহ্য করতে রাজি হয়নি। দারুন বিপ্লবের ফেটে পড়ে গোটা জাতি শ্রেণী - পেশা, ধর্ম-বর্ণ মিলে গিয়ে প্রতিবাদ করাই ছিল তখন একমাত্র উদ্দেশ্য। যা উদ্দীপকে রিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তাই বলা যায় যে উদ্দীপকেরই না আর ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার শহীদরা একই প্রতিবাদের মুক্ত প্রতীক।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ - প্রাণিবিজ্ঞান অধ্যায় ২ MCQ প্রশ্ন এবং উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ২

পরিচয় আমি বাঙালি আমার আমার আছে ইতিহাস গর্বের -
কখনোই ভয় করিনি গো আমিদ্দত কোন খড়গের!
শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাঁশ ;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাস ;
একই হাসিমুখে বাজিয়েছি বাঁশি গলায় পরেছি ফাঁস
আপস করিনি কখনো আমি - এই হলো ইতিহাস।

ক. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা শহরের পথে পথে থরে থরে কি ফুটেছে?

খ. এই রং এর বিপরীতে আছে অন্য রঙ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের ইতিহাস প্রসঙ্গে এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার ঐতিহ্য চেতনা সাদৃশ্য নির্ণয় কর।

ঘ. উদ্দীপক এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা বাঙালি স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনা এক অসাধারণ শিল্পভাষ্য- বিশ্লেষণ কর। 

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ২ এর উত্তর

ক. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা শহরের পথে পথে থরে থরে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে।

খ. এ রঙের বিপরীতে আছে অন্য রং বলতে ভাষা আন্দোলন চেতনা ধারক কৃষ্ণচূড়া লাল রঙের বিপরীতে অন্য রঙের কথা বলা হয়েছে যা ঘাতকের অশুভ চেতনাকে ধারণ করে।

কবিতা কৃষ্ণচূড়া ফুলকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যা আলাদা জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠা লাভের বিষয়টির বহন করে। তবে এর বিপরীত রয়েছে এক অশুভ শক্তি আমাদের এই স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। নিম্নলিখিত উক্তিটি ওই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে।

গ. উদ্দীপকের ইতিহাস প্রসঙ্গ এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা তীর যো চেতনা সাদৃশ্য হলো অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে বাঙালি ইতিহাস বরাবরই গর্ভের। যে কারণে বাঙালি কোন ভয় পেয়ে মাথা নত করে না। তারা স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি শত্রুর সাথে লড়াই করেছে। শস্য চাষের পাশাপাশি অস্ত্রেশন দিয়েছে। বাঙালি ইতিহাস কখনো আপোষ না করার ইতিহাস।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতাটি দেশপ্রেম, গণজাগরণ ও সংগ্রামী চেতনার কবিতা। বায়ান্ন ভাষা আন্দোলন হয়েছিল বাংলাতে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে। সে আন্দোলনে শহীদ হয়েছিল অনেক বীর বাঙালি। অনেক মা হারিয়েছিল তাদের সন্তানকে। তবুও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে বলেননি। এরই ধারাবাহিকতা তোষক ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ১৯৬৯ এ। দেশকে ভালোবেসে আত্মদান ও আত্মভূতির অবিস্মরণীয় ইতিহাস। বাঙালি তাদের সর্বস্ব ত্যাগ করেছে কিন্তু অত্যাচারীর কাছে মাথা নত করেনি। যা উদ্দীপকে ইতিহাস প্রসঙ্গে আমরা দেখতে পাই।

ঘ. উদ্দীপক এবং ১৯৬৯ কবিতা স্বতঃস্ পুত্র সংগ্রামী চেতন এক অসাধারণ শিল্পভাষ্য- মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকে আলোচ্য অংশটুকু বাঙালির সংগ্রামী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। বাঙালির ইতিহাস রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস ইতিহাস বরাবরই গর্বের। বাঙালি স্বপ্নের সাথে বাস করে শত্রুর সাথে লড়াই করতে জানে শস্য চাষের, পাশাপাশি অস্ত্রের শান দিতে জানে কখনো আপোষ না করে ইতিহাস রচনা করতে জানে।

অপরদিকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতাটি বাঙালির ইতিহাস ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগ্রামী চেতনা ধারণ করার প্রেক্ষাপটে রচিত। ভাই আপনার ভাষা আন্দোলনের জীবন দেয় রক্ত যেন শহরের পথে পথে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার ফুল। যা আমাদেরকে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে না শেখায়। নিজেদের অধিকার আদায় করতে শেখায়। এই চেতনায় উদ্ভূত হয়ে জাতিগত শোষক ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষ ১৯৬৯ এ। বিচিত্র শ্রেণীর পেশা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনা এক অসাধারণ এক শিল্পভাষ্য কবিতাটিতে প্রকাশ পেয়েছে। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর অভ্যুত্থান, এমন ভাবে করেছিল শেষ সময় পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান, মতিউর, ডঃ শামসুদ জোহা প্রমুখের মতো মানুষেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে কণ্ঠিত হয়নি। তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন, যা উদ্দীপকে ইতিহাস চেতনায় ও প্রতিফলিত হয়েছে।

তাই সার্বিক আলোচনা প্রেক্ষিতে বলা যায় প্রশ্নোত্তর উক্তিটি যথার্থ।

Read More : বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর সৃজনশীল প্রশ্ন ৩

একটি পতাকার জন্য কত রক্ত চাই!
একটি মানচিত্রের জন্য কত অশ্রু চাই!
রক্তের বুদবুদ ওকে বিষন্ন বাতাসে
চির সবুজের দেশে আপ্লুত আমেদে!
জলপাই রংয়ের ট্যাংক বেড়ায় দাপিয়ে,
শহরে কি বন্দরে সময় অসময়ে।
গর্জে উঠেছে সন্তান ভয় হীন সব প্রাণ,
বহুতে কলিজা বেঁধে করেছে সংগ্রাম।

ক. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কোন কাব্যগ্রন্থের কবিতা?

খ. দুঃখিনী মাতার অশ্রু জলে ফোটে ফুল - বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? বিশ্লেষণ কর।

ঘ. উদ্দীপকের কবি ও ১৯৬৯ কবিতা কবি একই মন্ত্রে দীক্ষিত। "-মন্তব্যটি সত্যতা বিচার কর।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা সৃজনশীল ৩ এর উত্তর

ক. ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ "নিজ বাসভুমে" কাব্যগ্রন্থের কবিতা।

খ. দুঃখিনী মা তার অশ্রু জলে ফোটে ফুল বলতে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করতে যে অনেক মায়ের চোখে জল ফেলতে হয়েছিল তা বোঝানো হয়েছে।

বায়ানোর ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশে অনেক ভিড়কে রক্ত দিতে হয়েছিল। ছেলে হারা হয়েছিল অনেক মা। ছেলেদের দেশের জন্য উৎসর্গ করে তারা তাদের বাকি জীবন চোখের জলে কাটিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার জাতিগত শোষক ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের সংগ্রামের দিকটি ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকের চরণগুলোতে দেখা যায় একটি পতাকার জন্য বহু রক্ত মানুষ দিচ্ছে কি মানচিত্রের জন্য মানুষ তার অশ্রু ঝরাচ্ছে। হানাদার বাহিনী ট্যাংক নিয়ে অতরকৃত হামলা চালাচ্ছে সময় অসময়ে। তাদের অবর্ণনীয় শোষকের শিকার হচ্ছে এদেশের সাধারণ মানুষ। আর এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে সকলে হতে কলিজা বেড়ে গর্জে উঠেছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতায় আমরা দেখতে পাই জাতিগত শাসক নিপীড়নের শিকার বাংলার সাধারণ মানুষ পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সকলই সব যখন সহ্যের বাইরে চলে গেছে তখন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে জনতা। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ জড়ো হয় ঢাকার রাজপথে। এতে বিচিত্র শ্রেণীর প্রেসার মানুষেরা সংগ্রামী চেতনার প্রকাশ পায়। অতই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার শোষকের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল সে দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকে কবি ও ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার কবি একই মন্ত্রে দীক্ষিত - মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার আশায় মানুষ রক্ত বিসর্জন দিচ্ছে। অশ্রু ঝরাচ্ছে, হানাদার বাহিনী প্রতিনিয়ত শোষক আর হামলার বিরুদ্ধে বাংলার সূর্য সন্তানরা গর্জে উঠেছে। তারা দেশকে মুক্ত করতে প্রাণ বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত। এ সময় জাতিগত শোষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বাংলার সাধারন মানুষ। বিচিত্র শ্রেণীর পেশার মানুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হয়ে ঢাকার রাজপথে। দেশ মাতার প্রতি বিপুল ভালোবাসা কবিতাটিতে প্রকাশ পেয়েছে। এই একই বিষয়ে প্রতিফলন আমরা উদ্দীপকে চলন গুলোতে প্রকাশ করতে দেখতে পাই।

সুতরাং উদ্দীপকের কবি ও ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার কবি একই মন্ত্রে দীক্ষিত।

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ রসায়ন ২য় পত্র - অধ্যায় ১ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর সৃজনশীল প্রশ্ন ৪

কপালে কব্জিতে লাল সালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক হাতের মুঠোয় মৃত্যু চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, করুণ কেরানি, নারী, বৃদ্ধ, ভবঘুরে আর তোমাদের মতো শিশু পাতা কুড়ানিরা দল বেঁধে।"

ক. ঘাতকের খাবার সম্মুখে বুক পা থেকে?

খ. অবিনাশী বর্ণমালা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতার বক্তব্যের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতার খণ্ডাংশ প্রতিফলিত হয়েছে।" মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা সৃজনশীল ৪ এর উত্তর

ক. ঘাতকের খাবার সম্মুখে বুক পাতে বরকত।

খ. অবিনাশী বর্ণমালা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

কবিতায় অবিনাশী বর্ণমালা বলতে বাংলা বর্ণমালা তথা রাষ্ট্রভাষা ধারক চিহ্নে অমর্ত্য বুঝিয়েছেন।

ভাই আপনার ভাষা আন্দোলন রাজপথে নেমেছিল সালাম, বরকতসহ অনেকেই। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদেরকে গুলি করে হত্যা করতে পারলেও বর্ণমালা স্পর্শ করতে পারেনি। রাষ্ট্রভাষা এই চিহ্ন অবিনাশী হয়েও নক্ষত্রের মতো ঝরে পড়েছে। এরি প্রেক্ষিতে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হল যুদ্ধে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণ।

'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতায় আমরা দেখতে পাই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্বারা শোষিত হতে হতে এক সময় জনগণ দারুণ বিপর্যয়ে ফেটে পড়েছে। সালাম রাজপথে নেমে শূন্যে ফ্ল্যাগ তোলে, বরকত ঘাতকের থাবার মুখে বুক পেতে দেয়। জনসাধারণ সে বিস্তারে যোগ দেয়। সর্বোপরি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে যোগ দেয় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

উদ্দীপকে ও আমরা একই চিত্র দেখতে পাই। বিপ্লবে যোগ দিতে কপালে কব্জিতে লাল সালু বেঁধে মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা মেরে লোহার শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, কেরানি, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। অতএব, এ থেকে প্রতীয়মান হয় বিচিত্র শ্রেণি পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনার অসাধারণ চিত্র উদ্দীপক এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতা উভয় স্থানেই ফুটে উঠেছে।

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র - অধ্যায় ১ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

ঘ. উদ্দীপকে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার খণ্ডাংশ প্রতিফলিত হয়েছে।’ মন্তব্যটি যথার্থ।

‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটি ভাষা আন্দোলনের প্রেরণায় সংঘটিত ’৬৯ এর গণআন্দোলনের একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে যে গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেটিই এ কবিতায় চিত্রিত হয়েছে। জাতিগত শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের বিষয়টিই এ কবিতার মূল উপজীব্য।

অপরদিকে উদ্দীপকে এমন কোনো পটভূমি বা আন্দোলনের কথা উল্লেখ নেই। প্রতিবাদের জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণ একত্রিত হয়েছেন সেই চিত্রটি প্রকাশ পেয়েছে। ‘ফেব्रুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় একুশের চেতনা ও গণআন্দোলনের পাশাপাশি ঘাতকের আজনাগ অত্যাচার, কমলবন তছনছ হওয়া সহ নানাদিক আলোচিত হয়েছে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। অতএব, এ থেকে বুঝা যায় যে, উদ্দীপকে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার খণ্ডাংশ প্রতিফলিত হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এর সৃজনশীল প্রশ্ন ৫

ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজরা এদেশের চাষিদের দিয়ে জোর করে নীলচাষ করাতো। চাষিদেরকে নামেমাত্র দাদন দিয়ে নীলচাষ করানো হতো। নীলচাষে বাধ্য হওয়ায় চাষিরা তাদের প্রয়োজনীয় শস্য যেমন-ধান, পাট, সরিষা ইত্যাদি উৎপাদন করতে পারতো না। নীলচাষ করতে অপারগ হলে চাষিদের ওপর নেমে আসতো নির্মম অত্যাচার। এ কারণে গড়ে ওঠে নীল বিদ্রোহ। নদীয়ার বিষ্ণুচরণ ও পাবনার কাদের মোল্লার মতো অসংখ্য মানুষ কৃষক- আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।

ক. হরিৎ উপত্যকা অর্থ কি?

খ. সেই ফুল আমাদের প্রাণ - বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের বিষ্ণু ও কাদের মোল্লা 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতার কাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? এ সাদৃশ্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপক এবং 'ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনার এক অসাধারণ শিল্পভাষ্য” -কবিতার আলোকে বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতা সৃজনশীল ৫ এর উত্তর

ক. হরিৎ উপত্যকা অর্থ সবুজ প্রান্তর।

খ. সেই ফুল আমাদের প্রাণ বলতে বাংলা ভাষাকে বোঝানো হয়েছে।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রান দিয়েছিলেন। তাদের এই মহিমা পরবর্তী নানা আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। এই বাংলাকে ভাষাকে শাসনের অত্যাচার হাত থেকে রক্ষা করতে বাঙালি এত ত্যাগ স্বীকার করেছিল। কারণ এই বাংলা ভাষাকে মানুষ টান দিয়ে ভালবাসে।

গ. ৫২-র ভাষা আন্দোলন ও ৬৯- এর গণঅভ্যুত্থানে রক্তদানকারী শহিদের সাথে উদ্দীপকের বিষ্ণু ও কাদের মোল্লার মিল দেখাবে।

ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজরা এদেশের চাষিদের দিয়ে জোর করে নীলচাষ করাতো। চাষিদেরকে নামেমাত্র দাদন দিয়ে নীলচাষ করানো হতো। নীলচাষে বাধ্য হওয়ায় চাষিরা তাদের প্রয়োজনীয় শস্য যেমন-ধান, পাট, সরিষা ইত্যাদি উৎপাদন করতে পারতো না। নীলচাষ করতে অপারগ হলে চাষিদের ওপর নেমে আসতো নির্মম অত্যাচার। এ কারণে গড়ে ওঠে নীল বিদ্রোহ। নদীয়ার বিষ্ণুচরণ ও পাবনার কাদের মোল্লার মতো অসংখ্য মানুষ কৃষক- আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।

ঘ. উদ্দীপকে আলোচ্য অংশটুকু বাঙালির সংগ্রামী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। বাঙালির ইতিহাস রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস ইতিহাস বরাবরই গর্বের। বাঙালি স্বপ্নের সাথে বাস করে শত্রুর সাথে লড়াই করতে জানে শস্য চাষের, পাশাপাশি অস্ত্রের শান দিতে জানে কখনো আপোষ না করে ইতিহাস রচনা করতে জানে।

অপরদিকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতাটি বাঙালির ইতিহাস ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগ্রামী চেতনা ধারণ করার প্রেক্ষাপটে রচিত। ভাই আপনার ভাষা আন্দোলনের জীবন দেয় রক্ত যেন শহরের পথে পথে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার ফুল। যা আমাদেরকে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে না শেখায়। নিজেদের অধিকার আদায় করতে শেখায়। এই চেতনায় উদ্ভূত হয়ে জাতিগত শোষক ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষ ১৯৬৯ এ। 

বিচিত্র শ্রেণীর পেশা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনা এক অসাধারণ এক শিল্পভাষ্য কবিতাটিতে প্রকাশ পেয়েছে। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর অভ্যুত্থান, এমন ভাবে করেছিল শেষ সময় পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান, মতিউর, ডঃ শামসুদ জোহা প্রমুখের মতো মানুষেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে কণ্ঠিত হয়নি। তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন, যা উদ্দীপকে ইতিহাস চেতনায় ও প্রতিফলিত হয়েছে ।

Read More : মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯' কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?

বাসার জন্য যায় রক্ত দিয়েছে তাদের ত্যাগ মহিমা চেতনা যেন মুক্ত হয়ে কৃষ্ণচূড়ার স্তবকে। এই চেতনা এ দেশের জনসাধারণকে সংগ্রামী করে তোলে জাতির শোষণ নিপীড়ন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এদেশের মানুষ ১৯৬৯ এ। কবিতার দেশমাতৃকার প্রতি জনতার বিপুল ভালোবাসা সংবর্ধিত হয়েছে।

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post