HSC রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর



{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন PDF

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :

বাজারে মিলিটারি ঢোকার পর থেকে কলিমদ্দি দাফাদার এর উপর বোর্ড অফিস খোলার ভার পড়েছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মিলি মিলিটারির ভয়ে পারত পক্ষের দিকে আসেন না। মেম্বারগন ও আত্মগোপন করেছেন। কিন্তু বোর্ড অফিস নিয়মিত খোলা রাখার হুকুম জারি আছে। কলিমদ্দি এ কাজ করার জন্য বাজারে আসেন। খান সেনারাও ওকেই অভিযান সঙ্গী করে নেয়। সে সরকারি লোক, নিয়মিত নামাজ পড়ে এবং যা হুকুম তা পালন করে। সুতরাং সন্দেহের কারণ নাই। তাই এ সুযোগে কাজে লাগিয়ে পাক ক্যাম্পের খবর মুক্তিবাহিনীর নিকট সরবরাহ করা হানাদারদের বিপথে চালিত করতে পারে কলিমদ্দি।

ক. রেইনকোট গল্পটি কার লেখা?

খ. ওই ঘরে আজকাল সহজে কেউ ঘেঁষে না। - কেন?

গ. রেইনকোট গল্পে বর্ণিত কলেজের পরিস্থিতির সাথে উদ্দীপকের বোর্ড অফিসের পরিস্থিতি তুলনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে কলিমুদ্দি ও রেনকোট গল্পে নুরুল হুদার মত সাধারণ ব্যক্তি এই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা মন্তব্যটি যাচাই কর।
 

রেইনকোট গল্পে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ১ :

ক. রেইনকোট গল্পটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা।

খ. ওই ঘরে আজকাল সহজে কেউ ঘেসে না। বলতে ড. আফাজ আহমেদের ঘরকে বোঝানো হয়েছে। কলেজের পাশে প্রিন্সিপালের কোয়াটারের পাশে মিলিটারি ক্যাম্পাস হওয়ায় কারণে ক্লাস বন্ধ। তবে শিক্ষকদের হাজিরা দিতে হয়। স্টাফ রুমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আলোচনা হলেও ডঃ আফাজের রুমে মুক্তিযুদ্ধদের কথা বলা হত এবং তাদের পতন নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করত। তাই ওই ঘরে আজকাল সহজে কেউ ঘাসে না।

গ. রেইনকোট গল্পে বর্ণিত কলেজের পরিস্থিতির সাথে উদ্দীপক বোর্ড অফিসের পরিস্থিতি সাদৃশ্য রয়েছে।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে বাজারে মিলিটারি ঢোকার পর থেকে কলিমুদ্দি দফাদারের উপর বোর্ড অফিস খোলার ভার পড়েছে। মিলিটারির ভয়ে সহজে কেউ এদিকে আসে না। কিন্তু বোর্ড অফিস নিয়মিত খোলা রাখার হুকুম থাকার কারণে সে বাজারে আসে। খান সেনারা তাই তাকে অভিযান সঙ্গী করে নেয়।

অপরদিকে রেনকোট গল্পে ও কলেজের দেওয়াল ঘের সে প্রিন্সিপালের কোয়ার্টারের পাশে কলেজের জিমনে শিয়ান মিলিটারি ক্যাম্প করে। ছাত্ররা কেউ কলেজে আসে না যার কারনে কলেজ বন্ধ ক্লাস বন্ধ। কিন্তু শিক্ষকদের প্রতিদিন হাজিরা দিতে হয়। তবুও বহু শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছে। কিন্তু নুরুল হুদা প্রতিদিন কলেজে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবে সেই প্রতিদিন হাজিরা দেয়। যে থমথমে পরিবেশ গল্পে ব্যক্ত করা হয়েছে সে একই পরিবেশ উদ্দীপকে বোর্ড অফিসেও দেখা যায়। তাই বলা যায় যে উভয় পরিস্থিতির সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে কলিমুদ্দি ও রেইনকোট গল্পে নুরুল হুদার মত সাধারন ব্যক্তির এই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম চেতনা মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকে কলিমুদ্দি বোর্ড অফিস খোলা রাখার দায়িত্ব পান। বাজারে নিয়মিত আসার কারণে পাক বাহিনীর বিশ্বাস করে। তাদের অভিযানে তাকে সঙ্গী হিসেবে নেয়। সরকারি লোক নিয়মিত নামাজ পড়ে এবং যা হুকুম পায় তা পালন করে কেউ তাকে সন্দেহ করে না।এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে সে ক্যাম্পের খবর মুক্তিবাহিনী নিকট সরবরাহ করে।

অপরদিকে রেইনকোট গল্পে নূরুল হুদা সাধারণ ভীতু প্রকৃতির লোক ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে সব সময় নিজেকে ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইতো। কিন্তু শেষ রকম হয়নি বাড়ি থেকে তুলে নেয়া যাওয়া হয় তাকে। তখন তার গায়ে মুক্তিযোদ্ধার সেলোক মিন্টুর রেইন করতে ছিল পাতার মাঝে দেশপ্রেম ও সাহসের সঞ্চার ঘটায়। শত অত্যাচারে সে চুপ সহ্য করেছিল। তবুও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন তথ্য সে পাকবাহিনিকে দেয়নি। একজন সাধারণ ব্যক্তি অসাধারণ কাজ করে ফেলেছিল কেবল দেশপ্রেম উদযাপিত হয়ে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করতে। তাই বলা যায় যে উদ্দীপকে কলিমুদ্দি ও নুরুলদের মতই সাধারণ ব্যক্তিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা।

Read More : বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

রেইনকোট গল্পে সৃজনশীল প্রশ্ন ২:

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রতনপুর গ্রামের মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে পরিণত হয়। স্কুলে প্রধান শিক্ষক হানাদার বাহিনীর আশ্রয়দাতা ও সহযোগীকারি। তিনি এ কাজে সহকর্মীদের বাধ্য করেন এবং কেউ সম্মত না হলে তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাই আজকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন প্রতিবাদ করার সাহস পাননা। সহকারী প্রধান শিক্ষক বাচ্চাদের নিয়ে বিরু প্রকৃতির মানুষ হলো তিনি ছিলেন মনে প্রানে একজন দেশ প্রেমিক মানুষ। তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তারপর আমু সে মুক্তিযোদ্ধারা রাতের অন্ধকারে হাতে মালিকে ধরে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করেন।

ক. মিসষ্ক্রিয়ান্ট শব্দের অর্থ কি?

খ. রাশিয়ার ছিল জেনারেল জেনারেল মনসুন। - উক্তিটি বিশ্লেষণ কর?

গ. উদ্দীপকে হাতেম আলী রেইনকোট গল্পে কোন চরিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং কেন?

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনা পরিণতি প্রত্যাশিত কিন্তু রেইনকোট গল্পের পরিণতি থেকে ভিন্ন। - উক্তিটি যথার্থতা মূল্যায়ন কর?
 

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২ :

ক. মিসক্রিয়ান্ট শব্দের অর্থ দুষ্কৃতকারী ।

খ. রাশিয়ার ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন। - বাক্যটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বর্ষা ঋতুর সহায়ক ভূমিকা প্রকাশ পেয়েছে।

আবহাওয়া জনিত কারণে বাংলা প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয় বর্ষার ঋতুতে যার সাথে পা খানাদার বাহিনী নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছিল না। ফলে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাশাপাশি প্রবল ঝড় বৃষ্টি ও বর্ষার ঋতুর সাথে লড়াই করতে হয়েছিল। ঠিক যেমন ভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচন্ড শীতের কারণে জার্মান বাহিনীর রাশিয়ার কাছে বিপর্যস্ত হয়েছিল।

গ. উদ্দীপকের হাতেমালি রেইনকোট গল্পে প্রিন্সিপাল ডক্টর আফাস আহমদ চরিত্র সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

উদ্দীপকের হাতেমালি একজন প্রধান শিক্ষক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তার বিদ্যালয়টি হানাদার বাহিনী ক্যাম্পে পরিণত হয়। হাতেম আলী হয়ে উঠে হানাদার বাহিনীর আশ্রয়দাতা ও সাহায্যকারী। তিনি এ কাজে সহকর্মীদের বাধ্য করেন। কেউ সম্মতি প্রদর্শন না করলে তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। অর্থাৎ তিনি পাকিস্তানীদের সহায়তা করে দেশবিরোধী পরিচয় দিয়েছেন।

অপরদিকে রেইন কোন গল্পে প্রিন্সিপাল ডক্টর আফরোজ আহমেদ পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন। কলেজের জিমনেসিয়ামে মিলিটারীদের ক্যাম্প স্থাপন করা হলে তিনি তাদের সাহায্য করেন। এই প্রিন্সিপাল মিলিটারি কর্তাদের নিবেদন করেছিলেন স্কুল কলেজ থেকে সব শহীদ মিনার হাটিয়ে দেওয়া হয়। তার মতে এগুলো পাকিস্তানের পথের কাঁটা। তিনি সব সময় চাইতেন হিন্দুস্তানিদের পতন। তিনি এতটাই হীন হয়েছিলেন যে অকর্মীদের বিপদে ফেলতে একবার ভাবেননি। আর ঠিক বৈশিষ্ট্যসমূহ উদ্দীপকে হাতেম আলীর মাঝেও বিদ্যমান।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনা তি প্রত্যাশিত কিন্তু রেইনকোট গল্পে পরিণতি থেকে ভিন্ন মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকে হাতেমআলও ছিলেন পাকিস্তানিদের আশ্রয় দাতা ও সাহায্যকারী। তিনি এই কাজে সহকর্মীদের বাধ্য করেন এবং কেউ সম্মতি প্রদান না করলে তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ শিক্ষক এ ধরনের কাজকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন কিন্তু ভয় প্রতিবাদ করতে পারেন না। সহকারী প্রধান শিক্ষক ভীরু প্রকৃতির মানুষ হলেও তিনি ছিলেন মনে পানি একজন দেশপ্রেমী মানুষ। তারপর পরামর্শে মুক্তিযোদ্ধারা রাতের অন্ধকারে হাতেম আলীকে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করেন তাদের এই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক ও প্রত্যাশিত।

রেইনকোট গল্পে পরিণতি ছিল অত্যন্ত হৃদয় বিধায়ক। ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদা মিলিটারিদের ভয়ে সর্বদা থাকতেন। এসব ঝামেলা এড়িয়ে যেতে চাইলেও কলেজের কুলিদের আগমনে ঘটনা তাকে মিলিটারিদের মুখোমুখি হতে বাধ্য করে। এ সময় ভীরু নুরুল হুদার মনে সাহসের সঞ্চার ঘটায় মুক্তিযোদ্ধা শ্যলক মিন্টুর রেইনকোট। মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানা ও কুলিদের আস্তানা সম্পর্কে না বলার কারনে তার ছোটখাটো শরীরকে দেওয়া হয় ছাদে লাগানো আংটার সাথে। তারপর চাবুকের বাড়ি পরে তার শরীরে তবে এতগুলো তার কাছে শুধু সাধারণ বলে মনে হতো।সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যত অত্যাচারী হোক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। এভাবে চাবুকের মার সহ্য করতে থাকে নুরুল হুদা যা অত্যন্ত হৃদয় বিধায়ক ছিল।

উদ্দীপকে শিক্ষকেরা এর বিচার করতে পারলেও নুরুল হুদার ক্ষেত্রে চুপচাপ অত্যাচার সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ঘটনা পরিণতি প্রত্যাশিত কিন্তু রেইন কোন গল্পের পরিণতি থেকে ভিন্ন।

Read More : মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

রেইনকোট: HSC বাংলা ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :

শওকত ওসমানের বিদায় উপন্যাসে দেখা যায় ১৯৭১ সালে পাঠানাদার বাহিনী এ দেশে বিদেশি কেমন নরকুণ্ডে পরিণত করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন তৎপরতার কথাও আছে। প্রবীণ স্কুল শিক্ষক কাজী রহমান শিও প্রাণ সংশয়া পণ্য দেখি আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু এ পলাতক জীবনে তিনি বিব্রত। তিনি যেন তার নিজের কাছে অপরিচিত জন। দেড় মাসে পলাতক জীবনে তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার। অসীম সাহসী এ সকল মানুষের সাথে মিশে অনুপ্রাণী হয়ে নির্ভীক চিত্তে তিনি পা রাখেন বাস্তবের কঠিন কর্তব্যভূমিতে।

ক. রেইনকোট গল্পতে কত সালে প্রকাশিত হয়?

খ. ঠান্ডা হওয়ার ধাক্কা রেইন কোর্টের তাপে গরম হয়ে ওঠার কারণ কি?

গ. উদ্দীপকে গাজী রহমানের সাথে রেইনকোট গল্পের নুরুল হুদা সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে রেনকোট গল্পের বিষয়বস্তু কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
 

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ৩:

ক. রেইনকোট গল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়।

খ. ঠান্ডা হওয়ার ধাক্কা রেনকোটের তাপে গরম হয়ে উঠেছিল আতঙ্কে।

বাস চলতে চলতে এমন এক স্থানে এসে দাঁড়ায় যেখানে পায়ের দিকে একটি নির্মাণাধীন মসজিদ ছিল। এই মসজিদের ছাদের দিকে থাকে নুরুল হুদার মনে পরে ক্রাক ডাউনের রাতে ভোর হলেই মিলিটারি গুলিতে এই মসজিদে মোয়াজিন ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা মনে হতেই তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল আতঙ্কে। কারণ সে ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সে।

গ. উদ্দীপকে গাজী রহমানের সাথে রেনকোট গল্পে নতুন সাদৃশ্য দিকটি ভীত অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটা এবং হঠাৎ করে দেশপ্রেম ও সাহসের সঞ্চার।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে শওকত ওসমানের আমার নাম হইতে বিদায় উপন্যাসের একটি চরিত্র স্কুল শিক্ষক গাজী রহমান। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তিনি প্রাণ নিয়ে সংশয়া পণ্য একে আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু পলাতক এ জীবন নিয়ে তিনি বিব্রত ছিলেন। দের মাস পলাতক জীবনে তিনি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্পর্শে আসেন। এবং অনুপ্রাণিত হয়ে নির্ভীক চিত্তে পা রাখেন বাস্তবের কঠিন কর্তব্যভূমিতে।

রেইনকোট গল্পে নুরুল হুদা একজন ভীরু প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালক মিন্টু তার বাসায় আসা-যাওয়া থাকার কারণে তিনি বারবার বাসা পরিবর্তন করতেন। কিন্তু কলেজে কুলিদের আগমন ঘটনার কারণে সন্দেহ করা হয় তাকে। প্রথমে ভয়ে তঠস্ত হলেও শ্যালক মিন্টু রেইন করতে পড়ে তার মধ্যে সাহসও দেশ প্রেম সঞ্চার হয়। সে সিদ্ধান্ত নেয় পরিস্থিতি যাই হোক কে মিলিটারীদের কোন তথ্য দিবে না। এই একই সাহসের সংসার গাজী রহমানের ক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাই।

ঘ. উদ্দীপক রেনকোট গল্পে আংশিক বিষয়বস্তু প্রতিফলিত হয়েছে।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে স্কুল শিক্ষক গাজী রহমান ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সিও প্রাণ সংশয় দেখে আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু পলাতক জীবন নিয়ে তিনি বিব্রত ছিলেন। এ সময় তিনি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্পর্শে আসেন। যাদের সাথে মিশে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পা রাখেন বাস্তবে কঠিন কর্তব্যভূমিতে। এখানে একজন ভৃত ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হওয়ার দৃশ্য অঙ্কিত হয়েছে।

অপরদিকে রেনকোট গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে রচিত। মুক্তিযুদ্ধের তখন শেষ পর্যায়। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ শুরু হয়েছিল। তারা বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ করছিল। যার কারনে মিলিটারিরা বিভিন্ন স্থানে অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কলেজে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ধ্বংসের ঘটনা সকল শিক্ষকের তলব করা হয়। নুরুল হুদা প্রথমে ভিতর ততস্ত্র থাকলেও পরিধান করার মিন্টু রেইন করতে তার মাঝে সাহসের সঞ্চার করে। সে নিজে অত্যাচারিত হলো মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানা জানিয়ে দিয়ে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তাই বলা যায় ধীর উপকৃতির সাউথ সঞ্চারের দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে গল্পের মিল থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল ঢাকার পরিস্থিতি রাজাকারদের তৎপরতা প্রভৃতি বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায় উদ্দীপকারী রেইনকোট গল্পে আংশিক প্রতিফলিত হয়েছে।

Read More : এইচএসসি প্রশ্ন ব্যাংক ২০২৪ - রসায়ন প্রথম পত্র অধ্যায় ৩ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ - প্রাণিবিজ্ঞান অধ্যায় ২ MCQ প্রশ্ন এবং উত্তর

রেইনকোট গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :

১০ মার্চ, ১৯৭১। রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি মিলিটারি। গুয়াতলী গ্রামে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভয়ে ভারতে পাড়ি জমায়। শুধু ভিটে আঁকড়ে পড়ে থাকে কেষ্টবাবু। পাশের গ্রামে ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প। স্থানীয় রাজাকার কাসেম মোড়ল কেষ্টবাবুকে সন্দেহ চোখে দেখে। সে মনে করে কেষ্টবাবু মুক্তি বাহিনীর লোক। এক বৃষ্টি মুখর দিনে গুয়াতলী গ্রামে মিলিটারি প্রবেশ করে এবং কাশেম মোড়লের ইশারে হানাদার বাহিনী নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে জীবন্ত পুতে রেখে চলে যায়।

ক. রেইনকোট গল্পে পিয়নের নাম কি?

খ. ভালোই হলো আমার গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা পড়েছে. পাইও বৃষ্টি লাগবে না। উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকে কেষ্ট বাবু রেইনকোট গল্পে কোন চরিত্র কে স্মরণ করিয়ে দেয়? বুঝিয়ে দাও।।

ঘ. উদ্দীপকের রেইনকোট গল্পে একটি খন্ড চিত্র মাত্র। - উক্তিটি সত্যতা যাচাই কর।
 

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ৪:

ক. রেইনকোট গল্পে পিয়নের নাম ছিল ইসহাক মিয়া।

খ. উক্তিটি নুরুল হুদার স্ত্রী আসমার।

কলেজের ভেতর গ্রেনেড হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কলেজের সকল শিক্ষকের তলপ করলে নুরুল হুদার ডাক পড়ে। সে সময় বাইরে প্রবল বৃষ্টি ছিল। এই বৃষ্টিতে ছাতায় কুলাতো না। নুরুল হুদার স্ত্রী তার ভাই মিন্টুর রেইনকোট তাকে পড়তে দিয়েছিল। মিন্টু তার চেয়ে লম্বা। তাই রেনকোট দিয়ে নুরুল হুদার গোড়ালি পর্যন্ত ঢেকে গিয়েছিল। ফলে তার গায়ে বৃষ্টির পানি লাগার সম্ভাবনা ছিল না।

গ. উদ্দীপকে কেষ্ট বাবু রেনকোট গল্পের নুরুল হুদা চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

তোমাকে দেখা যায় কেষ্ট বাবু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানে মিলিটারির ভয়ে ভারতে পালিয়ে না যে নিজের ভিটে আঁকড়ে পড়ে থাকে। স্থানীয় রাজাকার কাসেম মরোল কেষ্ট বাবুকে সন্দেহের চোখে দেখে। সে সন্দেহ করে মুক্তিবাহিনীর সাথে কেষ্ট বাবুর কোন যোগাযোগ আছে। একদিন তার ইশার হানাদার বাহিনী কেষ্ট বাবুকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে জীবন্ত পুঁতে রেখে চলে যায়।

অপরদিকে রেনকোট গল্পে নুরুল হুদা ভীত প্রকৃতির। এক ব্যক্তি ঢাকা কলেজের সামনে গেরিলা আক্রমণের ঘটনায় পাকিস্তানি মিলিটারিরা শিক্ষকদের তলব করে যাদের মধ্যে নুরুল হুদাও ছিল। সন্দেহ করেছিল মুক্তি বাহিনীর সাথে নুরুল হুদার কোন যোগাযোগ ছিল। তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কোন খবর দিতে না পারায় তার উপর অত্যাচার চালায়। দীপক কেষ্টবাবু পাকিস্তানিদের দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া এবং অপরাধ নুরুল হুদা পাকিস্তানিদের দ্বারা অত্যাচারিত হওয়ার চিত্র সম্পন্ন। তাই উদ্দীপকে কেষ্টবাবু রেনকোট গল্পের নুরুল হুদা চরিত্র কে স্মরণ করিয়ে দেয়।

ঘ. উদ্দীপক রেনকোট গল্পে একটি খন্ড চিত্র মাত্র উক্তিটি যথার্থ।

রেনকোট গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঢাকায় পরিস্থিতি নিয়ে রচিত। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তা পাক বাহিনীর নিয়োজিত লোকদের ভূমিকা মিলিটারিদের অত্যাচার ও নৃশংসতা ফুটে উঠেছে। উষ্ণতা সাহস ও দেশপ্রেম সঞ্চারের রেইনকোট প্রতীক পূর্ণ ফুটে উঠেছে। গল্পটিতে প্রধান চরিত্র নুরুল হুদা যখন তার যুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট পরিধান করে তখন মনের অজান্তে তার মধ্যে সাহস ও দেশপ্রেম সঞ্চার হয়। যে দিকটি এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

অপরদিকে উদ্দীপকে আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পায়খানাদার বাহিনীর নির্যাতন একটি খন্ড চিত্র দেখতে পাই যেখানে গ্রামের বিয়ে আঁকড়ে থাকা কেষ্টবাবু কোনো কারণ ছাড়াই রাজাকার কাসেম মোড়লের সন্দেহের চোখে পড়ে। কাশেম মোড়লভাবে সে মুক্তিবাহিনী লোক। যার কারনে মোড়ল মাদার বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় জীবন্ত পুঁতে রেখে চলে যায়।

উদ্দীপক ও রেইনকোট গল্পের সামগ্রিকতা আলোচনা করে দেখা যায় যে উদ্দীপকটি রেনকোট গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করেনি। উদ্দীপকে নুরুল হুদা সাহস, মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। তাই এটি রেনকোট গল্পের একটি খন্ড চিত্র মাত্র।


রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ :

মাস তিনেক পর শহরের গেরিলা অপারেশন করতে এসে রাজাকারের হাতে ধরা পড়ে মিনহাজ উদ্দিন। ওকে ক্যাম্পে এনে বকুল গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। উলঙ্গ। শাস্তি সকালের দশ বেত। বিকেলে দশ বেত।এমন দৃশ্য রহমত আলী জীবনে শ্রেষ্ঠ আনন্দ। শুধু জাল নাই বসে থাকলে এই দৃশ্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায় না। বেত মারার আগেই বকুলতলায় এসে দাঁড়ায়। দোকান ভরে মিনহাজ উদ্দিনের গোঙ্গানি শুনে। বেইমানের এমন চরম শাস্তি তো পাওয়া উচিত। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার জন্য ভীতু লোকটা সাহসী হয়ে গিয়েছিল। পালিয়েছিল বাড়ি থেকে।

ক. আব্বুকে ছোট মামার মত দেখাচ্ছে উক্তিটি কার?

খ. মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়েছে রেইনকোটের উপর উক্তিটির দ্বারা লেখক কি বোঝাতে চেয়েছেন।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নির্যাতন চিত্র রেইনকোট গল্পে মিলিটারির বর্বর রচিত আচরণের সাথে সাদৃশ্য যুক্ত। - উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. রেইনকোট গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের যে গেরিলা আক্রমণে সার্থক চিত্র পাই - তা উদ্দীপকে নেই। - মন্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত যুক্তি দিয়ে বিচার কর।
 

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ৫:

ক. উক্তিটি নুরুল হুদার পাঁচ বছরের ছেলের।

খ. নুরুল গায়ে চাবুকের আঘাতে এখানে তুলনা করা হয়েছে রেইনকোটের উপর বৃষ্টির ফোটার মতো।

মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকে রেনকোট গায়ে দিয়ে ধীরু প্রকৃতি নুরুল হুদার মাঝেও সাহস ও দেশপ্রেম সঞ্চারিত হয়। পাশাপাশি মুক্তি সেনারা পাকিস্তানি মিলিটারিদের কাছে কলেজে প্রফেসরদের মধ্যে তার নামই বলেছে জেনে উপর মুক্তিসেনাদের আস্থা পরিচয় পেয়েছে শিহরিত হয়। তাই পাকিস্তানিরা তার গা থেকে রেনকোট খুলে নিলো তার মনে হয় গায়ে রেনকোর্টের ওম এখনো লেগে আছে। তাই তার কাছে মনে হয় রেইনকোটের উপর চাবুকের আঘাতকে তাই তার কাছে মনে হয় রেনকোট এর উপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার মতো।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নির্যাতন চিত্র মিলিটারীদের বর্বরোচিত আচরণের সাথে সাদৃশ্য যুক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

রেইনকোট গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঢাকার পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে এখানে। বিব্রত হয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বডরবোচিত রচিত নিপীড়নু হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল তাদের বাহিনী অত্যাচারে মুক্তিযুদ্ধের খোঁজ পেতে নূরলহুদা সহ আরো অনেকে ধরে নিয়ে যায় মিলিটারিরা। মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ জানতে নুরুলহুদার উপর অমানবিক অত্যাচার ছাড়াও ঢাকার রাস্তায় গাড়ির পেসেঞ্জার দের নামিয়ে মেশিনগান তাক করে। করেছিল সন্দেহবাজনদের টিপে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল অত্যাচারে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

অপরদিকে উদ্দীপকে মিনহাজ উদ্দিন অপারেশন করতে এসে রাজাকার রহমতের হাত পা ধরে। শাস্তি স্বরূপ তাকে বকুল গাছের সাথে উলঙ্গ ঝুলিয়ে সকালে বিকালে বার করে বেত আঘাত করা হয়।এটা জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ পান রহমত আলী। তার মতে ঈমানের এরকম শাস্তি হওয়া উচিত। অথচ মিনহাজ উদ্দিন ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। এখানে আমরা পাকিস্তানিদের অত্যাচার চিত্র দেখতে পাই। উল্লেখিত আলোচনা প্রেক্ষিতে বলা যায় যে উদ্দীপকে বর্ণিত নির্যাতনের চিত্র রেইনকোট গল্পে মিলিটারির বরবরোচিত আচরণের সাথে সাদৃশ্য যুক্ত।

ঘ. রেইনকোট মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ সার্থক চিত্র পাই উদ্দীপকে নেই মন্তব্যটির সাথে আমি পুরোপুরি একমত।

রেইনকোট গল্পে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা বিভিন্ন স্থানে সফলভাবে গেরিলা হামলা চালিয়েছিল। তারা কলেজের দেওয়ালে ঘেঁষে বোমা ফাটিয়েছে, ইলেকট্রনিক ট্রান্সফরমার উড়িয়ে দিয়েছে। আর যাওয়ার সময় প্রিন্সিপালের বাড়িতে গেইনেট মেনে গেট ভেঙে ফেলেছে। মিরপুরের বিল দিয়ে দুই নৌকা বোঝাই করে গেরিলারা এসে একটা মিলিটারিদের নিয়ে দিয়েছে। কমপক্ষে পাঁচটা খান সেনা মারা গেছে। এছাড়া রংপুর দিনাজপুর বেশিরভাগ জায়গা স্বাধীন করে ফেলেছে তারা। অর্থাৎ তারা কোনোভাবেই পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা না পড়ে তাদের অভিযান সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছে।

অপরদিকে উদ্দীপকে মিনহাজ উদ্দিন মাস তিনের পর শহরে গেরিল অপারেশন করতে এসে রাজাকারের হাতে ধরা পড়ে যায়। পরে ধরে নিয়ে যায় এবং তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। সে তার অভিযান সফল করতে পারেনি।

এ কারণে বলা যায় যে রেইনকোট গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণের যে সার্থক চিত্র পাই তা উদ্দীপকে নেই।

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ রসায়ন ২য় পত্র - অধ্যায় ১ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Read More : এইচএসসি প্রশ্নব্যাংক ২০২৪ পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র - অধ্যায় ১ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post