মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক এবং MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক এবং MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক এবং MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

১. রেখাচিত্র আবুল কোন ধরনের গ্রন্থ?

উওর: দিনলিপি।

২. প্রজ্ঞা অর্থে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে কোন শব্দটি ব্যবহৃত করা হয়েছে?

উওর: মনীষা।

৩. সংকীর্ণতামুক্ত উদার মানসিকতাকে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে কি?

উওর: মুক্তবুদ্ধি।

৪. করুণাবশত দান খরাত করা মানসিকতার পরিচয় দেয়?

উওর: সংকীর্ণ মনোভাবের।

৫. আবু ফজল এর মতে বড় ও ব্যাপক সমস্যার সমাধান করা যায় না -

উওর: জোড়াতালি দিয়ে।

৬. বল প্রয়োগ করে মানুষকে বানানো যায়?

উওর: তাঁবেদার।

৭. বাংলাদেশ মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উদাহরণ রেখে গেছেন কারা?

উওর: মহৎ প্রতিভারা।

৮. পৃথিবীতে কোন ধরনের মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে?

উওর: দুস্ত, স্বদেশ বিতারিত, অবহেলিত।

৯. মানবকল্যাণ প্রবন্ধ অনুসারে মর্যাদার সাথে জীবন যাপনের উপায় হল?

উওর: স্বাবলম্বী হওয়া।

১০. কোন লেখক মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?

উওর: আবুল ফজল।

১১. আমাদের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মানব কল্যাণ কথাটি কেমন?

উওর: সস্তা।

১২. ইসলামের নবী কি বলেছিলেন?

উওর: ওপরের হাত নিচে হাত হতে শ্রেষ্ঠ।

১৩. যে রাষ্ট্র হাতপাতা আর চাটুকারিতা তে সে রাষ্ট্র কি তৈরি করতে পারে না?

উওর: আত্মমর্যাদা শীল নাগরিক।

১৪. সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ কি?

উওর: পরিবার।

১৫. কি ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাবৃদ্ধি প্রমাণ করে যে মানব কল্যাণ আজ মানব অপমানে পরিণত হয়েছে?

উওর: সেবাধর্মী।

১৬. মানবকল্যাণ সাধনে আমাদের কোনটি বদলাতে হবে?

উওর: দৃষ্টিভঙ্গি।

১৭. আমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হইবো না কেন? বঙ্কিমচন্দ্রের এই উক্তিতে মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ?

উওর: মানবিক মূল্যবোধ।

১৮. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধে লেখক কোন বিষয়টিকে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন

উওর: মানব-কল্যাণের তাৎপর্য বিচার।

১৯. সত্যিকারের মানব-কল্যাণ কিসের ফসল?

উওর: মহান চিন্তার।

২০. কোন পথে গেলে মানুষের মানব কল্যাণ সাধন সম্ভব?

উওর: সমতার পথে।

২১. আমাদের দেশের মানব কল্যাণ কেবল কিসের উপর নির্ভরশীল?

উওর: জৈব অস্তিত্ব।

২২. মানব-কল্যাণে সোপান রচনা কার দায়িত্ব?

উওর: রাষ্ট্রের।

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

ক. মানব-কল্যাণ প্রবন্ধটি কত সালে রচিত?

উওর: মানব-কল্যাণ প্রবন্ধটি ১৯৭২ সালের রচিত।

খ. ওপরের হাত সব সময় নিজের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ কথাটি কে বলেছেন?

উওর: ওপরের হাত সব সময় নিজের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ কথাটি বলেছেন ইসলামের নবী।

গ. আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব-কল্যাণ কথাটা অনেকখানি কি অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উওর: আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব-কল্যাণ কথাটা অনেক খানি সস্তা আর মামুলি অর্থে ব্যবহৃত হয়।

ঘ. র ্যাশনাল শব্দের অর্থ কি?

উওর: বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন বা বিচক্ষণ।

ঙ. তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হইবো না কেন উক্তিটি কার?

উওর: উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এর।

চ. জাতিকে কী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে?

উওর: জাতিকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে।

ছ. মানব-কল্যাণে প্রাথমিক সোপান কি?

উওর: মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং মানবিকবৃত্তি বিকাশের পথে বেড়ে উঠে যথাযথ ক্ষেত্র রচনায় মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান।

জ. সত্যিকার মানব-কল্যান কিসের ফসল?

উওর: সত্যিকারের মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা ভাবনার ফসল।

মানব কল্যাণ প্রবন্ধের CQ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. সত্যিকারে মানব কল্যাণ মহৎ চিন্তা ভাবনারে ফসল এ - বাক্যের মর্মার্থ লেখ।

উওর: সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা ভাবনারই ফসল বলতে বোঝানো হয়েছে মহৎ চিন্তা বাস্তবায়ন প্রকৃতি মানব কল্যাণ।

মানব কল্যাণ বলতে আমরা মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস কে বুঝি। এ কল্যাণ করতে গিয়ে কোনোভাবেই যেন মানব তাকে ক্ষুন্ন করা না হয়। সেই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। মাথায় রেখে যারা অন্যের কল্যাণ করতে চান তারা এই প্রকৃত মানুষ মহৎ প্রতিবানরা। সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।

২. লেখকের মতে মানব-কল্যাণ বলতে কী বোঝায় বর্ণনা কর।

উওর: লেখক এর মতে মানবকল্যাণ বলতে মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস বোঝানো হয়েছে।

মানব কল্যাণের লক্ষ্য হওয়া উচিত মহৎ। সকল অবমানণকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তোলন ঘটানো কে মানব-কল্যাণ বলা হয়। এটি মানুষের আত্মমর্যাদাকে বৃদ্ধি করে। সেই সাথে মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং মানুষকে মুক্তি দেয়।

৩. রাষ্ট্র জাতীয় যৌথ জীবন যৌথ চেতনারী প্রতীক - উক্তিটির দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?

উওর: রাষ্ট্র জাতীয় যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারী প্রতীক বলতে বোঝানো হয়েছে রাষ্ট্রর সাথে জাতীয় জীবন ও চেতনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

একটি রাষ্ট্র অবস্থান প্রতিপালিত হয় তার জাতি ও তাদের চেতনার মাধ্যমে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানোই না আত্মমর্যাদা সম্পন্ন করে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র হাত পাতা আর চাটুকারি তার কাছে প্রশ্রয় দিলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি বা নাগরিক সৃষ্টি করতে পারবেনা। তাই মানব-কল্যাণে যথার্থ পরিবেশ রাষ্ট্রেরি তৈরি করতে হবে।

৪.মানব-কল্যাণ কিভাবে মানব মর্যাদা সহায়ত হয়ে উঠবে।

উওর: মানব-কল্যাণ মানব মর্যাদা সহায়ক হয়ে উঠবে কল্যাণময় পৃথিবীর রচনা হলে। কোন মানুষকে বা করুনা বসবরতি হয়ে দান খরাত না করে তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দেওয়া উচিত। এতে তার মর্যাদা বোধ বৃদ্ধি পাবে, মানবিক চেতনা বিকাশ হবে। পাশাপাশি মুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে নিয়োগ করা গেলে মানব কল্যাণ-মানব মর্যাদা সহায়ক হয়ে উঠবে।

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post