নবম ও দশম শ্রেণি : রসায়ন একাদশ অধ্যায় : খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম ও দশম শ্রেণি : রসায়ন একাদশ অধ্যায়: খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম 

নবম ও দশম শ্রেণি  রসায়ন একাদশ অধ্যায়  খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন: ১

CH2n-2 একটি সমগোত্রীয় শ্রেণির সাধারণ সংকেত।

ক. জীবাশ্মা কাকে বলে?
খ. বেনজিন একটি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন-ব্যাখ্যা কর।
গ. n = 2 বিবেচনা যৌগটি অসম্পৃক্ত করে প্রাপ্ত বিক্রিয়ার সাহায্যে প্রমাণ কর। পৃক্ত হাইড্রোকার্বন-
ঘ. উদ্দীপকের কোনো একটি সদস্য হতে মিথেন প্রস্তুত করা সম্ভব। কি-না?- বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ কর।

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল : ১ প্রশ্নের উত্তর

ক. বহু প্রাচীনকালের উদ্ভিদ এবং প্রাণীর মৃতদেহের যে ধ্বংসাবশেষ মাটির নিচে পাওয়া যায় তাকে জীবাশ্ম বলে।

খ. বেনজিনকে অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন বলা হয়। কারণ বেনজিন (C₂H₂) যৌগটি হাইড্রোজেন (H) ও কার্বন (C) সমন্বয়ে গঠিত। বেনজিনের ক্ষেত্রে চটি কার্বন নিয়ে যৌগটি গঠিত এবং এতে দ্বি-বন্ধন থাকে। এটিতে পর্যায়ক্রমে কার্বন-কার্বন একটি একক কন্ধন এবং একটি দ্বি-বন্ধন তথা একান্তর দ্বিবন্ধন বিদ্যমান যা অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য। যেহেতু বেনজিন (C₂H₂) যৌগটি C ও H নিয়ে গঠিত, তাই এটি হাইড্রোকার্বন এবং যৌগটিতে অ্যারোমেটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, সেহেতু একে অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন বলে।

গ. উদ্দীপকের সমগোত্রীয় শ্রেণির সাধারণ সংকেত CnH2n-2। এখন n = 2 ধরে নিলে যৌগটি হবে C2H2x2-2 বা C₂H₂ (ইথাইন)। ইথাইন (CH = CH) একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। নিচে বিক্রিয়ার সাহায্যে তা প্রমাণ করা হলো-

ব্রোমিন দ্রবণ পরীক্ষা: ইথাইনের মধ্যে লাল বর্ণের ব্রোমিন দ্রবণ যোগ করলে ইথাইন লাল বর্ণের ব্রোমিন দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে টেট্রা ব্রোমো ইথেন উৎপন্ন করে। এ সময় বিক্রিয়ায় ব্রোমিনের লাল বর্ণ দূরীভূত হয়। ইথাইন যে অসম্পৃক্ত তা এই বিক্রিয়া দ্বারা প্রমাণিত হয়।

বিক্রিয়া: CH = CH + 2Br2→CHBr2-CHBr2

ঘ. উদ্দীপকের প্রদত্ত CnH2n-2 সাধারণ সংকেতের প্রাথমিক সদস্য ইথাইন (CH = CH)। এটি থেকে মিথেন প্রস্তুত করা সম্ভব। নিচে বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ করা হলো-

নিকেল প্রভাবকের উপস্থিতিতে ইথাইন এর সাথে হাইড্রোজেন 180° 200°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ইথেন পাওয়া যায়।

বিক্রিয়া: CH = CH + 2H2→(Ni)(180-200 °C)

→CH3-CH3 (ইথেন)

প্রাপ্ত ইথেনকে উচ্চ তাপ ও চাপে বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত করলে ইথানোয়িক এসিড উৎপন্ন হয়।

মূল বিক্রিয়া:

CH3-CH3(ইথেন)+ 3[0]→CH3COOH

উৎপন্ন ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH) কস্টিক সোডার সাথে খায়, বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ইথানোয়েট (CH3COONa) লবণ তৈরি ) করে।

Read More: অধ্যবসায় রচনা

রসায়ন নবম দশম ১১ অধ্যায় নোট

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন: ২

একটি হাইড্রোকার্বনে 75% কার্বন এবং 25% হাইড্রোজেন আছে। যৌগটির আণবিক ভর 16।

ক. লিমিটিং বিক্রিয়ক কাকে বলে?
খ. কৃষিক্ষেত্রে ফসফরাসের আইসোটোপের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের হাইড্রোকার্বনের আণবিক সংকেত নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের যৌগটি থেকে ক্লোরোফর্ম প্রস্তুত করা যায়- সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর।

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল : ২ প্রশ্নের উত্তর

ক. বিক্রিয়ার সময় একাধিক বিক্রিয়কের মধ্যে যে বিক্রিয়ক অবশিষ্ট থাকে না তাকে লিমিটিং বিক্রিয়ক বলে।

খ. ফসফরাসের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন উন্নত মানের বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ফলনের মানের উন্নতি ও পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। তেজস্ক্রিয় 32p যুক্ত ফসফেট ! N(7) দ্রবণ উদ্ভিদের মূলধারায় সূচিত করা হয়। গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে পুরো উদ্ভিদে এর চলাচল চিহ্নিত করে কী কৌশলে উদ্ভিদ বেড়ে উঠে তা ফসফরাস ব্যবহার করে জানা যায়।

গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত হাইড্রোকার্বন যৌগে-

কার্বন → 75% হাইড্রোজেন → 25%

এখন, যৌগে বিদ্যমান মৌলসমূহের শতকরা পরিমাণকে তাদের নিজ নিজ পারমাণবিক ভর দ্বারা ভাগ করে পাই-

C=75/12=6.25, H=25/1=25

প্রাপ্ত ভাগফলকে তাদের মধ্যে ক্ষুদ্রতর ভাগফল দ্বারা ভাগ করে পাই-

C=6.25/6.25= 1 , H=25/6.25=4

সুতরাং, যৌগে C ও H এর অনুপাত = 1:4 অর্থাৎ যৌগটির স্থূল সংকেত = CH4

আমরা জানি, স্থূল সংকেত × n = আণবিক সংকেত কিন্তু স্থূল সংকেতের আণবিক ভর = 12 + 1 × 4 = 16

আবার, যৌগের আণবিক ভর = 16 (দেওয়া আছে) সতরাং, 16 x n = 16

অর্থাৎ n = 16 = 1

অতএব, যৌগের স্থূল সংকেত এবং আণবিক সংকেত একই আর তা হলো CH₄।

ঘ. 'গ' থেকে প্রাপ্ত উদ্দীপকে উল্লেখিত যৌগটি হলো- মিথেন (CH₄)। মিথেন থেকে ক্লোরোফরম প্রস্তুত করা যায়। নিচে সমীকরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো-

মিথেন মৃদু সূর্যালোকের (UV) উপস্থিতিতে ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে প্রথমে মিথাইল ক্লোরাইড (CH₃CI) উৎপন্ন করে। এখানে মূলত প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। মিথাইল ক্লোরাইড হতে পরবর্তীতে একটি হাইড্রোজেন ক্লোরিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে ডাইক্লোরো মিথেন (CH₂Cl₂) ও ট্রাইফ্লোরোমিথেন (CHCl3) উৎপন্ন করে। বিক্রিয়ার প্রতি ধাপে একটি করে হাইড্রোজেন পরমাণু ক্লোরিন পরমাণু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় এবং হাইড্রোজেন ক্লোরাইড হিসেবে নির্গত হয়। উৎপন্ন ট্রাইক্লোরোমিথেনকে ক্লোরোফরম বলা হয়। এটি চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

CH4(g) + Cl2(g) UV → CH3Cl(g) + HCl(g)

CH3Cl(g) + Cl2(g) UV → CH2Cl2(g) + HCl(g)

CH2Cl2(g) + Cl2(g)UV → CHCl3(g) (ক্লোরোফরম) + HCl(g)

অর্থাৎ মিথেন হতে ক্লোরোফরম উৎপন্ন করা ক্লোরোফরম হয়।

রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

Read More: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে mcq প্রশ্ন জেনে নিন [PDF]

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন: ৩

নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর-

(i) A+ HCl → C₂H₃CI
(ii) A + H₂→ B

ক. মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
খ. পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলতে কী বুঝ?
গ. উদ্দীপকের 'A' যৌগটিকে কীভাবে শনাক্ত করা যায়? সমীকরণসহ লিখ।
ঘ. উদ্দীপকের A ও B যৌগের মধ্যে তুলনা কর।

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল : ৩ প্রশ্নের উত্তর

ক. পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 তে অবস্থিত মৌল যেমন- তামা (Cu), রূপা (Ag) ও সোনা (Au) কে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।

খ. যে বিক্রিয়ায় উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে একই যৌগের অসংখ্য ক্ষুদ্র অণু বা মনোমারসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আণবিক ভরবিশিষ্ট নতুন যৌগের অণু বা পলিমার গঠন করে তাকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে।

যেমন, উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে ভিনাইল ক্লোরাইড (CH2 = CHCI) যৌগের অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আণবিক ভরবিশিষ্ট নতুন যৌগ পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC) গঠন করে।

n H₂C=CH-C→[উচ্চ চাপ ও তাপ/ পলিমারকরণ]
→(CH2-CH-CH [PVC (পলিমার)]

গ. উদ্দীপকের যৌগটি ইথিন (CH2 = CH2) যা অসম্পৃক্ত যৌগ। কোনো জৈব যৌগে কার্বন-কার্বন বন্ধন উপস্থিত থাকলে উক্ত যৌগটি অসম্পৃক্ত হয়। উপরোল্লিখিত যৌগটি তিনটির মধ্যে শুধুমাত্র ইথিনে (CH2 = CH2) কার্বন-কার্বন বন্ধন উপস্থিত। তাই এটি অসম্পৃক্ত যৌগ। ব্রোমিন পানি পরীক্ষার মাধ্যমে এর অসম্পৃক্ততা প্রমাণ করা যায়। গাঢ় লাল বর্ণের তরল ব্রোমিনকে কার্বন টেট্রাক্লোরাইড (CCL)-এ দ্রবীভূত করে 5% দ্রবণ তৈরি করা হয়। 

ব্রোমিনের এ দ্রবণটি কমলা-লাল বর্ণের হয়। দ্বিবন্ধনযুক্ত ইথিনের সঙ্গে ব্রোমিন দ্রবণের যুত বিক্রিয়ায় বর্ণহীন 1, 2-ডাইব্রোমো ইথেন উৎপন্ন হয়। ফলে দ্রবণে Br₂ অণুর অভাবে তা বর্ণহীন দেখায়।

CH2=CH2 + Br2→[ CCl4]→CH2Br-CH2Br
(1, 2-ডাইব্রোমো ইথেন)

অন্য দুটি যৌগে কার্বন-কার্বন বন্ধন অনুপস্থিত থাকায় এ বিক্রিয়া প্রদর্শন করে না, অর্থাৎ প্রমাণিত হয় যে, ইথিন (CH₂ = CH₂) যৌগটি অসম্পৃক্ত।

ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী A যৌগটি হলো ইথিন (C₂H₄)। এটি অ্যালকিন শ্রেণির প্রথম সদস্য। অপরদিকে B যৌগটি হলো ইথেন (C₂H₂)। এটি অ্যালকেন শ্রেণির দ্বিতীয় সদস্য। ইথিন (C₂H₂) ও ইথেনের (C₂H₂) তুলনামূলক অবস্থা নিম্নরূপ :

সাদৃশ্য:

১. উভয় যৌগই হাইড্রোকার্বন।
২. উভয় যৌগ দ্বি-কার্বনবিশিষ্ট।
৩. উভয় যৌগ বিয়োজন ও প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া প্রদর্শন করে।

বৈসাদৃশ্য :
ইথিন-
১. ইথিনে কার্বন-কার্বন দ্বি- বন্ধন থাকে।
২. ইথিনের সাধারণ সংকেত CnH2n
৩. এটি রাসায়নিকভাবে বেশ সক্রিয়।
৪. ইথিন একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।
৫. এটি ব্রোমিন দ্রবণ পরীক্ষা ও বেয়ার পরীক্ষা (অসম্পৃক্ততার পরীক্ষা) দেয়।

ইথেন-
১. ইথেনে কার্বন-কার্বন একক বন্ধন থাকে।
২. ইথেনের সাধারণ সংকেত CnH2n+21
৩. এটি রাসায়নিকভাবে অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয়।
৪. ইথেন একটি হাইড্রোকার্বন। সম্পৃক্ত
৫. এটি ব্রোমিন দ্রবণ পরীক্ষা ও বেয়ার পরীক্ষা (অসম্পৃক্ততার পরীক্ষা) দেয় না।

রসায়ন ১১তম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন: ৪

(1) C₂H₄,

(ii) CH3CH2OH,

(iii) HCHO

ক. গ্যাসহোল কী?
খ. পলিমার বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের (i) নং যৌগ হতে কীভাবে পলিমার ও গ্লাইকল তৈরি করবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিল্পক্ষেত্রে উদ্দীপকের (ii) নং ও (iii) নং যৌগের গুরুত্ব আছে কি-না যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

Read more: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ১০ম অধ্যায় (সমন্বয়)

খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল : ৪ প্রশ্নের উত্তর

ক. গ্যাসহোল এক প্রকার জ্বালানি, যেখানে পেট্রোলের সাথে 10 – 20% ইথানল মিশ্রিত থাকে।

খ. পলিমার হলো খুবই বড় অণু বা ম্যাক্রো অণু। গ্রিক শব্দ পলি (Poly) অর্থ 'বহু' এবং মেরোস (Meros) অর্থ 'অংশ' অর্থাৎ যখন অসংখ্য ছোট জৈব অণু সমযোজী বন্ধনে যুক্ত হয়ে কার্বন শিকল বৃদ্ধি সহকারে খুবই বড় বা ম্যাক্রো অণু সৃষ্টি করে তখন তাকে পলিমার বলে। পলিমারের ছোট একক অণুকে মনোমার বলে।

গ. উদ্দীপকে (i) নং যৌগটি ইথিলিন (C₂H₂)। ইথিলিন থেকে পলিমার ও গ্লাইকল তৈরির প্রক্রিয়া নিচে ব্যাখ্যা করা হলো--

১. পলিমার প্রস্তুতি: উচ্চ তাপ (200 °C) ও চাপে (1000 atm) অসংখ্য ইথিলিন অণু পরস্পর যুক্ত হয়ে পলিইথিলিন বা পলিথিন নামক পলিমার গঠন করে।

nCH2=CH2 (ইথিলিন)→200 °C 1000 atm →(-CH2-CH2-)n পলিইথিলিন (পলিমার)

২. গ্লাইকল প্রস্তুতি: ইথিলিনকে লঘু জলীয় পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা জারিত করলে ইথিলিন গ্লাইকল উৎপন্ন হয়।

CH2=CH2 + H2O + [O]→[KMnO4]→
CH2-CH2

↓ ↓

OH OH

ইথিলিন গ্লাইকল

ঘ. উদ্দীপকের (ii) নং ও (iii) নং যৌগদ্বয় যথাক্রমে ইথানল ও ফরমালডিহাইড বা মিথান্যাল। শিল্পক্ষেত্রে ইথানল ও মিথান্যালের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে শিল্পক্ষেত্রে যৌগদ্বয়ের গুরুত্ব যুক্তি সহকারে বিশ্লেষণ করা হলো-

রাসায়নিক শিল্পে ইথানল থেকে ইথানয়িক এসিড, বিভিন্ন জৈব এসিডের এস্টার প্রস্তুত করা হয়। ইথানলকে প্রধানত পারফিউম, কসমেটিক্স ও ঔষধ শিল্পে দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রেডের ইথানলকে ঔষধ শিল্পে এবং রেকটিফাইড স্পিরিটকে হোমিও ঔষধ শিল্পে ব্যবহার করা হয়। 

ইথানলে 96% জলীয় দ্রবণকে রেকটিফাইড স্পিরিট বলে। ঔষধ ও খাদ্যশিল্পে রেকটিফাইড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ব্রাজিলে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ইথানলকে মটর ইঞ্জিনের জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অপরদিকে শিল্প কারখানায় অ্যালডিহাইডের ব্যবহার তুলনামূলক কম। তবে অন্য রাসায়নিক পদার্থ প্রস্তুত করার জন্য HCHO এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। HCHO এর 40% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে। মৃত প্রাণী সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। HCHO থেকে পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরি করা হয়। 

HCHO এর জলীয় দ্রবণকে অতি নিম্ন চাপে উত্তপ্ত করলে ডেরলিন নামক শক্ত পলিমার উৎপন্ন হয় যা দ্বারা চেয়ার, টেবিল, বালতি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়। তাই শিল্পক্ষেত্রে ইথানল ও ■ মিথান্যালের গুরুত্ব অপরিসীম।

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post