শীতের সকাল | অনুচ্ছেদ SSC HSC JSC
অনুচ্ছেদ রচনা বাংলাদেশের পাঠ্যসূচীর পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে শীতের সকাল অনুচ্ছেদ SSC, HSC, JSC পরিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। আমরা এই পোষ্টে শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানব। যা আপনাদের পরীক্ষাতে কাজে আসবে। নিম্নে শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হলো
{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
বসন্ত ঋতুর পূর্বে শীতের আগমন ঘটে। কুয়াশারের চাদর মুড়ি দিয়ে শীত আসে। আর শীতের সকাল মানব মনে এক বিচিত্র অনুভূতির সঞ্চার করে। সেই পাতা জোড়া কুয়াশা মোরা সকালের দিকে তাকিয়ে মন কেমন বিষন্ন হয়ে ওঠে। তখন শীতকে মনে হয় উদাসী এক বাউল। তার হাতে একতারা সেখানে বৈরাগ্য সুর। কিন্তু এইটা তার একমাত্র পরিচয় নয়। শীত এসে মানুষকে আরও প্রাণোচ্ছল ও আনন্দমুখর করে তোলে। মানুষ তখন নানা সাজে নিজেকে আরও সাজিয়ে তোলে। শীতের সময় নানা-মেলা নানা পারবেন ইত্যাদি হয়ে থাকে।
শীত এসে মানুষের নিরানন্দের ঢাকনা টাকে কখন সরিয়ে দেয় তখন মানুষের মনে খুশির ছোঁয়া লাগে। শীতের সকালের কাছে এ আমাদের বড় পাওনা। শীতের সকালে একটা রৌদ্র মাখা সকাল আমাদের কাছে পরম প্রতীক্ষিত হয়ে ওঠে। সবাই সেই কাক ডাকা ভোর থেকে প্রতিজ্ঞা করতে থাকে কাঙ্ক্ষিত সূর্য দেবতার একটু ছোঁয়া পাওয়ার জন্য। শীতের সকালে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর পূর্বাকাশে ধীরে ধীরে আলো ঝলমল করে ওঠে। গণ কুয়াশা ভেদ করে কুসুম কুসুম উত্তাপ ছড়াতে সূর্যকে বেশ বেগ পেতে হয়। এই উত্তাপ ছড়ানো শুরু না হওয়া পর্যন্ত কেউ আর লেপেরুন ছেড়ে বের হয়ে আসতে চায় না। চোখে থাকে ঘুমের আবেশ কত বেলা হয়েছে তা বোঝাও যায় না।
আরও পড়ুন : মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
গায়ের মানুষের শীতের সকাল কাটে আগুনের কুণ্ড কেন্দ্র করে। প্রত্যেক বাড়িতে খড়কুটা দিয়ে আগুনের কুণ্ড তৈরি করে গায়ের মানুষ তার চারিদিকে বসে আগুনের উত্তাপ উপভোগ করে শরীর গরম করে। আর সবাই মিলে গল্প গুজবে মশগুল হয়। এক সময় কুয়াশা কাটিয়ে রোদ উঁকি দেয় সে দুর্লভ রোজ উপভোগের জন্য শিশু-কিশোরদের মধ্যে উৎসাহের সীমা থাকে না।
যেখানে রোদ দেখা দেয় সেখানেই তারা ছুটে গিয়ে তা উপভোগ করে। পল্লীগ্রামে শীতের সকাল আরো বেশি উপভোগ হয়ে উঠে শীতের পিঠা খাওয়ার মাধ্যমে। শহরের গরমের তাপে শীতের সকাল তার নিজস্ব রূপে প্রকাশিত হতে পারে না। কারণ এখানে গ্রামের মতো কুয়াশা স্নিগ্ধ যৌলুশ নেই। তবু কুয়াশার বুক চিরে যখন ভোরের বাসটি দুলতে দুলতে এগিয়ে আসে তখন সত্যই অপূর্ব লাগে। এখানে রাজপথে শীতের রূপ কুণ্ঠিত হলেও ছোট ছোট দোকান গুলোতে গরম চায় সকালের যাত্রীদের উদামি করে তোলে। আসলে শীতের সকালে যে প্রধান আকর্ষণ খেজুর রস বা রসের পায়েস ও পিঠাপুলি জন্য শহর ছেড়ে দূর গ্রাম বাংলায় যেতে হবে।
সেখানে শীতের সকাল তার সৌন্দর্যে ও মধুর যে অনবদ্য ভাবে নিজেকে সাজিয়ে বসে আছে। এই সৌন্দর্য ও মধুর যে রূপ ও রস ও গন্ধ থেকে আমাদের বঞ্চিত হওয়া সমীচীন নয়। শীতের সকালে তৈরি হয় নানা রকম খাবার। গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে লেগে থাকে পিঠা তৈরির ধুম। শীতের সকালে রোদে বসে পিঠা খাওয়ার আনন্দ বোধ হয় সবার জানা। শুধু গ্রাম নয় শহরে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভাপা পিঠা বানিয়ে বিক্রয় করা হয়। তাছাড়া রস পিঠা, তেলে পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি আরো নানা রকম পিঠা।
আরও পড়ুন : ৯ম-১০ম শ্রেণি বাংলা সাহিত্য । বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
শীতের সকাল আসলে বড়ই মধুর যা ছোট কালের অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। শীতের সকাল মানে জমে ওঠা বরফ শীতের সকাল মানেই পিঠা যা দেখলে জিভে পানি এসে যায় এসব আয়োজন এর মধ্য দিয়ে শীতের সকালের সকল আনন্দের উৎফুল্ল দ্বারা বয়ে যায়।
শীতের সকাল
উপরে আমরা শীতের সকাল অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেছি। অন্যান্য শ্রেণির উপযুক্ত অনুচ্ছেদ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। তোমরা শীতের সকাল রচনাটি পারো।