সুষম খাদ্য কাকে বলে ? সুষম খাদ্যের গুরুত্ব

সুষম খাদ্য কাকে বলে

যে সকল খাদ্যা মানুষের প্রয়োজনীয় সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে তাদেরকে সুষম খাদ্য। শর্করা, আমিষ, বা ভিটামিন জাতীয় এ খাদ্যগুলা উপাদান মানব দেহের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য অত্যন্ত জরুরী।

 

সুষম খাদ্য কাকে বলে  সুষম খাদ্যের গুরুত্ব


{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

মানবদেহে সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পুরন এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন এই উপাদানগুলোকে একটি সঠিক মাত্রায় খেতে হবে। প্রতিদিন খাবারের তালিকা ও সকল খাবারগুলোকে অবশ্যই রাখতে হবে । ঐ সকল খাদ্য খাবার কে সুষম খাবার বলে।

সুষম খাদ্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয় 

সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানসম্মত উপায় মানুষের শারীর সুস্থতা বজায় রাখা এবং প্রতিদিনের কাজ কর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিতে সক্ষম এই সুষম খাদ্য। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন আমাদেরকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সুষম খাদ্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সেই পুষ্টি ও সুসম্পন্ন খাদ্য বহন করে দেয়। 

শৈশবে সুষম খাদ্যের ঘাটতি শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবার ফলে অপুষ্টি জনিত নানা রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়। এটি একটি মেধবী জাতি গঠনে বাজার সৃষ্টি করে।

সুষম খাদ্যের উপাদান 

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শর্করা, আমিষ, চর্বি, খাবার, ভিটামিন, খনিজ লবণ, পানি এই ছয়টি উপাদান সঠিক নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন খেতে হবে। এতে মানব দেহ সঠিক পুষ্টি উপাদান পেতে পারে। যা মানব দেহ সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সুষম খাদ্য উপাদান গুলোর বর্ণনা 

সুষম খাদ্যর মোট ছয়টি উপাদান রয়েছে। এই ছয়টি উপাদান ই মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ছয়টি উপাদান ছাড়া একটি মানব দেহ সুসম্পন্ন হয় না। 

সুষম খাদ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সৃষ্টি করে। এতে করে যখন কোন মানুষ অসুস্থ হয় তখন সে সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোগের সাথে লড়াই করে মুক্তি পেতে পারি। নিচে সুষম খাদ্যের ছয়টি উপাদান গুলো বর্ণনা আলোচনা করা হলো। 

1. শর্করা

মানবদেহে শক্তি সরবরাহের প্রধান উৎস, শর্করা। সাধারণত ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি, খই, ওটস, নুডলস, আলু, পাস্তা জাতীয় খাবার শর্করার প্রধান উৎস। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় মোট ক্যালরির প্রায় ৬০-৭০% ক্যালরি খাবার থেকেই আমাদের দেহ পেয়ে থাকে। শর্করাজাতীয় খাবারের মধ্যে জটিল শর্করা, যেমন গমের আটার রুটি, লাল চাল, খাবারকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।

2. আমিষ

মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম, কলিজা ও বীজজাতীয় খাবার আমিষের প্রধান উৎস। বিকাশে আমিষের কোন বিকল্প নেই। প্রাণিজ আমিষের উৎস মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। এদেরকে প্রথম শ্রেনীর আমিষ বলা হয়। অন্যদিকে ডাল, বীজ জাতীয় আমিষকে উদ্ভিজ্জ আমিষ বলা হয়, যাদেরকে আমিষ বলা হয়। আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ক্যালরির প্রায় ১০-১২% ক্যালরি আমিষ থেকে পেয়ে থাকি।

3. স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার

তেল, ঘি, মাখন এই শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় মোট ক্যালরির প্রায় ২০-২৫% ক্যালরি জাতীয় খাবার থেকেই পাই। দৈনিক পরিমিত পরিমাণে স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। বিশেষত যেমন: অলিভ, সরিষা, সানফ্লাওয়ার বা বাদামের তেলকে প্রতিদিনের খাবারের মাঝে প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন।

4. ভিটামিন ও খনিজ লবণ

শাক-সবজি ও ফলমূল ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রধান উৎস। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এই দুটি খাদ্য উপাদানই আমাদের জন্য খুব জরুরি। দেহের মেটাবলিজম , স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়ুকোষের সঠিক কার্য সম্পাদনের এদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, দেশীয় ফলকে প্রাধান্য দেয়া জরুরি।

5. পানি

শারীরিক ও মানসিক কার্যক্রমকে নির্বিঘ্ন রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ।

6. দুধ ও দুধজাতীয় খাবার

এ ছাড়াও দুধ, দই, ছানা, পনির দেহের ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের পাশাপাশি ও আমিষের চাহিদাকেও পূরণ করে থাকে। যা আমাদের দৈহিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়কে শক্ত করতে এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

সারসংক্ষেপ 

একজন মানুষ দেহে সার্বিক পুষ্টি ও ক্যালরির চাহিদা অনুযায়ী খাবার প্লেটে কোন ধরনের খাবার কতটুকু প্রয়োজন তা নির্দেশ করতে ডায়েট চার্ট রেডি করে। এতে করে একজন মানুষ কতটুকু সুষম খাদ্য গ্রহণ করছে তার তালিকা সে পরিমান মাধ্যমে তার দেহের পুষ্টির পরিমাণ বুঝতে পারে। 

যে কোন বয়সের মানুষকে প্রতিদিন সুশম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত এতে করে তার মানবদেহে যতটুকু পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন ততটুকু পুষ্টি উপাদান পেয়ে যাবে। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা বুঝতে পারি যে সুষম খাদ্য কাকে বলে এবং কোন কোন খাবারগুলো সুষম খাদ্যের উপাদান। 

আপনারা এরকম আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের পুরো ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখুন আমরা আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে সকল তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এবং আপনাদের যদি আর কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আপনাদের প্রশ্ন অনুযায়ী তথ্য উত্তর দিতে চেষ্টা করব।

Previous Post Next Post