Monas 10 এর কাজ কি? জেনে নিন মোনাস ১০ এর কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হয় তো মোনাস ১০ ট্যাবলেট এর নাম শুনেছেন। কিন্তু অনেকেই মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম জানেন না। আবার অনেকেই জানেনা যে Monas 10 এর কাজ কি?

প্রিয় পাঠক মূলত শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মোনাস ১০ দেওয়া হয় হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করার জন্য। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে মোনাস ১০ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ কিনা? কিংবা মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম কি। আজকের আর্টিকেলে আমি মোনাস ১০ ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব। তাই পুরো আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।


আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হয় তো মোনাস ১০ ট্যাবলেট এর নাম শুনেছেন। কিন্তু অনেকেই মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম জানেন না। আবার অনেকেই জানেনা যে Monas 10 এর কাজ কি?  প্রিয় পাঠক মূলত শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মোনাস ১০ দেওয়া হয় হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করার জন্য। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে মোনাস ১০ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ কিনা? কিংবা মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম কি। আজকের আর্টিকেলে আমি মোনাস ১০ ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব। তাই পুরো আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।


{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

কাশির জন্য মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম- Monas 10 খাওয়ার নিয়ম

Monas 10 এর কাজ কি তা জানার আগে জেনে নিব মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম। মোনাস ১০ হল একটি কাশির ঔষধ। সাধারণত শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাশি এবং হাঁপানিজনিত সমস্যার কারণে ঔষধটি দেওয়া হয়। সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা যখন খুবই খারাপ হয়ে যায়,অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে শ্বাসনালীর প্রদাহ এবং সংকীর্ণতার সৃষ্টি হয় তখন হাঁপানির লক্ষণ দেখা দেয়।

এর ফলে প্রচুর পরিমাণে বুক ব্যথা,কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এবং এই সমস্যা দূরীকরণের ক্ষেত্রেই মোনোস ১০ দেওয়া হয়। নিয়ম মাফিক যদি আপনি এই ওষুধটি না খান, তাহলে এই ওষুধটি খাওয়ার পরও আপনি কোন ভালো ফলাফল পাবেন না। মোনাস ১০ খাওয়ার নিয়ম:-

  • সাধারণত এই ট্যাবলেটটি দীর্ঘদিন ধরেই সেবন করতে হয়। যতদিন না পর্যন্ত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং কাশি ভালো না হচ্ছে।
  • সাধারণত প্রতিদিন রাত্রে খাবারের পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই ট্যাবলেটটি খেতে হবে।
  • শিশুদের জন্য এটি সিরাপ আকারে বিক্রি করা হয়। এবং যেসব শিশুদের বয়স ছয় মাস থেকে ছয় বছর তাদের ক্ষেত্রে চার মিলিগ্রাম করে এই ওষুধটি খাওয়াতে হবে।
  • ছয় বছর থেকে ১৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৫ মিলিগ্রাম এর পরিমাণ ওষুধ খাওয়ানো যাবে।
  • যাদের বয়স ১৫ বছরের উর্ধ্বে অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের জন্য পুরো ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ পুরো একটি আস্ত ট্যাবলেটিই খেতে হবে।
  • যাদের অতিরিক্ত পরিমাণ কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাস টানা এই ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে হলে দিনে দুইবার এই ওষুধটি সেবন করতে হবে।
  • অবশ্যই ভরা পেটে ঔষধ কি সেবন করতে হবে।
  • সমস্যা বেশি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধটি সেবন করতে হবে।

মোনাস ১০ কতদিন খেতে হয়?

Monas 10 এর কাজ কি তা জানার আগে আমাদের একটু জেনে নেওয়া উচিত মোনাস ১০ কত দিন খেতে হয়? মোনাস ১০ হল মূলত একটি হাঁপানি রোগের ঔষধ। ঠান্ডা সর্দি কিংবা জ্বরের কারণে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি এবং বুক ব্যথা হয়,এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হয়,তখন চিকিৎসকরা এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আবার অনেকেই জানেনা যে মোনাস ১০ কত দিন খেতে হয়। সাধারণত সমস্যা যখন অতিরিক্ত জটিল হয়ে থাকে, তখন চিকিৎসকরা মোনাস ১০ দিনে তিনবার খেতে বলেন। এবং ওষুধ খাওয়ার পর যখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে,তখন এটি দুই বেলা করে খেতে বলেন।

এবং যখন কাশি এবং হাঁপানি একেবারেই ভালো হয়ে যায় তখন সাধারণত চিকিৎসকরা এটি রাতের বেলায় একটি করে খেতে বলেন। সাধারণত ওষুধটি সর্বনিম্ন ১৫ দিন এবং সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত খেতে হয়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করা উচিত। অতিরিক্ত সেবনের ফলে শারীরিক অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

মোনাস ট্যাবলেট এর কাজ কি- Monas 10 এর কাজ কি?

Monas 10 এর কাজ কি তা আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। আমি আগেই বলেছি সাধারণত চিকিৎসকরা হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করার জন্যই এই ট্যাবলেটটি দিয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি অল্প কাশ, সর্দি এবং কফ দূর করার ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা এটি দিয়ে থাকেন।

এই ওষুধের মধ্যে রয়েছে এমন এক উপাদান যা মানব শরীরের লিউকোট্রাইন নামক পদার্থের কার্যক্ষমতা বন্ধ করে দেয়। এটি উৎপাদন হয় বলেই আমাদের শরীরে হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার ফলে এটি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। Monas 10 এর অনেক কাজ আছে। যেমনঃ-

  • হাঁপানি এবং এজমা রোগ দূরীকরণে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা,গলা ব্যথা, কাশি এবং বুক ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
  • এজমা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মোনাস ১০ অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর মধ্যে থাকা উপাদান মানবদেহে লিউকোট্রাইন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। যার ফলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • যাদের এলার্জির সমস্যার কারণে প্রচুর পরিমাণ কাশি হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।
  • এলার্জি রাইনাইটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি এটি অতিরিক্ত হাঁচি এবং কাঁপুনি দূর করতেও সাহায্য করে।

আশা করি Monas 10 এর কাজ কি তা জেনে গেছেন। আপনারও যদি উপরোক্ত সমস্যা গুলো থেকে থাকে,তাহলে আপনিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন এবং নিয়ম মাফিক এটি সেবন করে অবশ্যই ফলাফল পেতে পারেন।

মোনাস ১০ কি এন্টিবায়োটিক?

Monas 10 এর কাজ তো জানলেন। আমি ইতিমধ্যে মোনাস ১০ কিসের ঔষধ তা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। অনেকেই মনে করে থাকেন যে এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। যা শ্বাসকষ্টের জন্য এন্টিবায়োটিক হিসেবে খাওয়া হয়।

তবে না এটি কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ না। বরং এটি একটি সাধারণ ঔষধ। যা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি কাশি এবং বুক ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমা জনিত সমস্যা নিয়ে যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, তখন সাধারণত অধিকাংশ চিকিৎসকই এই ওষুধটি সাজেস্ট করে থাকে।

সমস্যা অতিরিক্ত হলে সাধারণত সর্বনিম্ন ১৫ দিন একটানা এই ওষুধটি সেবন করতে হয়। অ্যান্টিবায়োটিক এর মত নিয়ম করে এটি কোর্স হিসেবে খাওয়া হয় না। কারণ এটি কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ নয়।

মোনাস ১০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রিয় পাঠক প্রত্যেকটি ঔষধেরই কোন না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অবশ্যই রয়েছে। এই ওষুধটির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। এই ঔষধটি সেবন করার পর আপনারা কিছু শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে যে একই সমস্যা হবে তার কোন কথা নেই।

সুতরাং অবশ্যই এই ওষুধটি সেবন করার আগে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো জেনে এই ওষুধটি নিয়মমাফিক সেবন করা উচিত। নয়তো বা পড়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই মোনাস ১০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ-

  • হঠাৎ করে এই ওষুধ খাওয়ার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
  • ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • কখনো কখনো হালকা বমি ভাব হতে পারে।
  • হালকা বমিও হতে পারে।
  • তিন বেলা সেবন করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
  • আবার কারো কারো প্রচুর মাত্র এক ঘুম আসতে পারে।
  • অতিরিক্ত পানির তৃষ্ণা আসতে পারে।
  • চোখের মধ্যে হালকা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে।

উপরোক্ত সমস্যাগুলো যে সবার ক্ষেত্রে ঘটবে বিষয়টা এমন নয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি এই ওষুধ সেবন করা না হয়, তাহলে উপরোক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে।

Monas 10 price in Bangladesh- মোনাস ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত?

অনেকেই হয়তো জানে না যে মোনাস ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত। একটি ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের দাম সাধারণত বাংলাদেশি মূল্যে ১৬ টাকা। তবে অধিকাংশ ফার্মেসিতে পাঁচটি ট্যাবলেটের দাম একত্রে ৮০ টাকা রাখা হয়। পনেরো টি ট্যাবলেটের দাম রাখা হয় ২৪০ টাকার মত।

তবে বাজারের দরদামের উপর ভিত্তি করে এই দাম উঠা নামা করতে পারে। আপনি আপনার নিকটে যে কোন ফার্মেসিতে এই ওষুধটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। তবে এটি সেবন করার আগে অবশ্যই রেজিস্ট্রারকৃত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি মোনাস ১০ এই ওষুধটি নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং আমার আলোচনার মূল অংশই ছিল Monas 10 এর কাজ কি? ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

Previous Post Next Post