রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট বিস্তারিত তথ্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৭৫৩ একর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট আবেদনের যোগ্যতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কত জিপিএ লাগবে জেনে নিনঃ-
মানবিক
মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ নূন্যতম আলাদা ভাবে ৩.০০ পেতে হবে এবং সর্বমোট জিপিএ ৭ হতে হবে।
বাণিজ্য
বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ করে মোট জিপিএ ৭.৫০ পেতে হবে।
বিজ্ঞান
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য উত্তীর্ণ আবেদনকারীরা এসএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সহ নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ পেতে হবে।
বলে রাখা ভালো প্রাথমিক সিলেকশনে আপনাকে উত্তীর্ণ হতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ ৭২ হাজার আবেদনকারীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা চারটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিটি শিফটে ১৮ হাজার আবেদনকারীর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিটের মানবন্টন
বিষয়ভিত্তিক নম্বর নিম্নে দেওয়া হল
- পদার্থবিজ্ঞান- ৩১.২৫ নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা-২৫ টি
- রসায়ন- ৩১.২৫- নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা- ২৫ টি
- আইসিটি- ৬.২৫ নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা- ৫ টি
- জীববিজ্ঞান- ৩১.২৫ নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা- ২৫ টি
- গণিত- ৩১.২৫ নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি
- জীববিজ্ঞান+ গণিত- ৩১.২৫ নম্বর- প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি
মোট ১০০ মার্কসের পরীক্ষা
১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৮০ টি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হলো ১.২৫ করে। সবকয়টি প্রশ্ন বহুনির্বাচনি এবং পরীক্ষার সময় হলো ১ ঘন্টা।
বিঃদ্রঃ
জীববিজ্ঞান বা গণিত অথবা জীববিজ্ঞান+গণিত এই তিনটির মাঝে যেকোনো একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট আসন সংখ্যা- ১৫৬০ টি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট কার্ট মার্ক- ০.২৫ নম্বর
বিজ্ঞান অনুষদ
- গনিত-১১০
- রসায়ন-১০০
- পদার্থবিজ্ঞান-৯০
- পরিসংখ্যান-৯০
- ফলিত গনিত-৮০
- পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট-৬০
- প্রান রসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান-৫০
- ফার্মেসি-৫০
- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান-৩০
জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ
- প্রানিবিদ্যা- ৮০
- মনোবিজ্ঞান- ৭০
- উদ্ভিদবিজ্ঞান- ৭০
- জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি- ৪০
- চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান- ৩০
- মাইক্রোবায়োলজি- ৩০
কৃষি অনুষদ
এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ-৫৬
ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি- ৫৬
প্রকৌশল অনুষদ
- ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল-৭০
- কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং-৫০
- ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারি-৪৬
- ম্যাটেরিয়াল্স সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং-৫০
- ইলেকট্রনিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক এন্ড ইন্জিনিয়ারিং-৫০
ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ
ভূগোল পরিবেশবিদ্যা – ৭৬
ভূ-তত্ত্ব – ৬০
ফিশারীজ অনুষদ
ফিশারীজ- ৫০
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদ
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স-৫০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট বিষয় সমূহ
বিজ্ঞান অনুষদ:
- গণিত
- পদার্থবিজ্ঞান
- রসায়ন
- পরিসংখ্যান
- প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান
- ফার্মেসী
- পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট
- ফলিত গণিত
- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ
জীববিজ্ঞান অনুষদ:
- মনোবিজ্ঞান
- উদ্ভিদবিজ্ঞান
- প্রাণিবিদ্যা
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি
- চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
- মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
প্রকৌশল অনুষদ:
- ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল
- কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
- ম্যাটেরিয়াল্স সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
কৃষি অনুষদ:
- এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন এবং
- ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ
ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ:
- ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা
- ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ
ফিশারীজ অনুষদ:
ফিশারীজ বিভাগ
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ:
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ
প্রয়োজনীয় উপদেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রাথমিক সিলেকশনের নাম থাকতে হবে। প্রাথমিক সিলেকশনের আবেদন ফি ৫৫ টাকা। বলে রাখা ভালো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। তবে প্রশ্ন খুব বেশি কঠিন হয় না। আপনি যদি প্রশ্নব্যাংক ফলো করেন এবং বারবার রিপিট হওয়া প্রশ্নের টপিকগুলো আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণে বেড়ে যাবে।
বেশি বেশি পড়ুন এবং পরীক্ষা দিন। প্রাকটিস করার বিকল্প নেই। সুস্থ মস্তিষ্কে পড়তে বসুন। হতাশ হওয়া যাবে না। ভোরবেলায় পড়তে বসবেন। রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বেন। পরীক্ষার আগে রিলাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। নিজের পরীক্ষা নিজে দিবেন। ডানে-বামে তাকালে নিজেই আফসোস করবেন। নিজের উপর আত্নবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হবেন।
সময়কে ভাগ করে নিবেন। জটিল প্রশ্নগুলো পরে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন ১ ঘন্টার ভেতরে আপনাকে ৮০ টি এমসিকিউ দিতে হবে। তাই কিছুতেই সময় নষ্ট করবেন না। একটি প্রশ্ন পারেন না সেটা পরে সমাধান করুন। সেটি নিয়ে ৩-৪ মিনিট নষ্ট করলে শেষ সময়ে খুবই ঝামেলায় পড়বেন।
আপনার জন্য রইলো শুভকামনা।
ধন্যবাদ