কিসমিস এর উপকারিতা বলেই যেন শেষ করা সম্ভব নয়। অত্যাধিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকার কারণে কিসমিসকে একটি “সুপার ফুড” ও বলা যেতে পারে। সাধারণত রোদে শুকানো সবুজ এবং কালো আঙুর কে কিসমিস বলে।
ছোট বড় সকলেই এই কিসমিস খেতে ভালোবাসে। কারণ যখন কিসমিস খাওয়া হয় তখন এর স্বাদটা খুবই মিষ্টি থাকে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য অর্থাৎ ডেজার্ট তৈরি এবং রান্নার ক্ষেত্রে কিসমিস কিংবা কিসমিস বাটা ব্যবহার করা হয়।
কিসমিসে বিদ্যমান ভিটামিন,খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস সহ বেশ কয়েক ধরনের ফাইবার থাকার কারণে পুষ্টিবিদরা এই খাবারটিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলে। কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি জানেন তাহলে আপনিও বাধ্য হবেন এই খাবারটিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে।
আজকের আর্টিকেলে আমি বলব কিসমিস এর উপকারিতা এর অপকারিতা এবং কিসমিস খাবার সঠিক নিয়ম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন যে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত৷ কারণ অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে অনেক সময় এটি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং আরো অনেকটি পুষ্টিগুণ। যা প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন।
কিসমিস শরীরে শক্তি যোগান এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে ও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রক্ত কণিকা গঠনেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, ওজন বৃদ্ধি করা, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ এর পাশাপাশি শরীরের অনেক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কিসমিস।
তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখা। কতটুকু পরিমাণে কিসমিস রাখতে হবে? কতটুকু পরিমান কিসমিস খেলে একজন মানুষের দেহ ভালো থাকবে,এর পাশাপাশি কিসমিসের কার্যকারিতাও ধরে রাখা সম্ভব হবে? এক গবেষণা অনুযায়ী পুষ্টিবিদদের মধ্যে প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া উচিত।
কারণ ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ পরিমাণ ক্যালরি শক্তি থাকে। যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মানব দেহকে সচল রাখতে, এর পাশাপাশি কিসমিসের সকল কার্যকারিতা গুলোকে পূরণ করতে সাহায্য করে।
কালো কিসমিস এর উপকারিতা
সাধারণত কালো আঙ্গুর শুকিয়ে কালো কিসমিস তৈরি করা হয়। সোনালী কিংবা গোল্ডেন কিসমিসের পাশাপাশি কালো কিসমিস এর উপকারিতা ও অনেক। আসলে কিসমিস এর উপকারিতা বলেই শেষ করা সম্ভব নয়। কালো কিসমিস এর বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। সোনালী কিসমিসের তুলনায় কালো কিসমিস খেতে অনেকটাই মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
কালো কিসমিস যেমন তারুণ্য স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুল ধরে রাখতে সাহায্য করে, তেমনি ওজন কমাতেও কিন্তু কালো কিসমিসের আছে জুড়ি মেলা ভার। কারণ এতে রয়েছে প্রচন্ড পরিমাণে ফাইবার। যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর পাশাপাশি কালো কিসমিসের আরো অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। যেমনঃ-
- কালো কিসমিস রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কালো কিসমিস খেলে এটি রক্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন, দূষিত পদার্থ গুলো দূর করে দেয়। তো পরিশোধের কাজ করে থাকে।
- কালো কিসমিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কালো কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম। যা খেলে দেহে সোডিয়ামের মাত্রা কমে আসে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। যারাই প্রতিনিয়ত কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগে থাকেন,তারা যদি প্রতিদিন করে কালো কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন, তাহলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
এর পাশাপাশি আয়রনের মোকাবেলা, সঠিক ঘুম, চেহারা ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা ইত্যাদির মত যাবতীয় কাজগুলো এই কিসমিস করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অবশ্যই কালো কিসমিস রাখা প্রয়োজন।
গোল্ডেন কিসমিস এর উপকারিতা
কিসমিস এর উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন রঙের এবং ধাঁছের কিসমিস রয়েছে। আর সেই কিসমিস যদি সঠিক নিয়মে,সঠিক পরিমাণে খাওয়া যায় তবে এর ফলাফল খুবই ভালো হয়। কালো কিসমিসের পাশাপাশি বাজারে গোল্ডেন কিসমিস অর্থাৎ সোনালী কিসমিস পাওয়া যায়। যেটা মূলত সবুজ আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়।
কালো কিসমিসের পাশাপাশি গোল্ডেন কিসমিসেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ভিটামিন। যা দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কালো কিসমিসের পাশাপাশি গোল্ডেন কিসমিস এর উপকারিতা ও অনেক। যেমন:
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে গোল্ডেন কিসমিস সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। যা মূলত এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তস্বল্পতা পূরণের সাহায্য করে। গোল্ডেন কিসমিসে বিদ্যমান আয়রন এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মানবদেহের রক্তস্বল্পতা পূরণের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে থাকে। এর পাশাপাশি এই কিসমিসের মধ্যে থাকা যে তামা রয়েছে, তা মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
- দ্রুত হজমে উপকার করতে গোল্ডেন কিসমিস সাহায্য করে।
- সুস্থ এবং সুন্দর ত্বক তৈরিতে কালো কিসমিস সাহায্য করে। মানব দেহের ত্বককে যেকোনো ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এই গোল্ডেন কিংবা সোনালী কিসমিস। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভিতরের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে বাধা দিয়ে থাকে। যা মানব দেহের ত্বককে সুন্দর রাখে
তাই অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কালো কিসমিস না রাখতে পারলেও সোনালী কিসমিস রাখা প্রয়োজন। তবে দুটি ধরনের কিসমিস রাখলেই সবথেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
কিসমিস এর উপকারিতা কি- শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
কিসমিস মূলত এক ধরনের ড্রাই ফ্রুটস। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আসলে কিসমিস এর উপকারিতা কি, শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এ ব্যাপারে এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ এর মধ্যে এত পরিমান পুষ্টিগুণ আছে যাকে একটি সুপার ফুড বললেও মন্দ হবে না। আসুন দেখে নেই শুকনো কিসমিস খেলে কি উপকার পাবেন বা এর উপকারিতা কিঃ-
- কিসমিস খাওয়ার ফলে দেহের রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
- কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে দেহের হাড় এবং দাঁত মজবুত হয়।
- এটি মানব দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কিসমিস সাহায্য করে।
- ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে কিসমিস সাহায্য করে। এতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিসমিস সাহায্য করে।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কিসমিস সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকার কারণে যৌন দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
- চুল মজবুত এবং ত্বক সুন্দর করতে কিসমিস সাহায্য করে।
- রক্তকণিকা উৎপাদন এবং দেহের শক্তি যোগান দিতে কিসমিস সাহায্য করে থাকে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে শুকনো কিসমিস খেলে কতটা উপকার পাওয়া সম্ভব। প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের উচিত কয়েকটি কিসমিস রেখে দেওয়া।
কিসমিস এর পানির উপকারিতা- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা-
কিসমিস এর উপকারিতা কি তা তো ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন। এখন অনেকেই চিন্তা করে থাকবেন যে শুকনো কিসমিস না খেয়ে যদি আমরা কিসমিস ভিজিয়ে খাই তাহলে কিসমিস এর পানির উপকারিতা বা কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা আছে কি? এর উত্তর হল কিসমিসের পানি যদি আপনি পান করতে পারেন তাহলে এর জন্য আলাদা উপকার আছে।
যারা প্রত্যেকদিন শুধুমাত্র কিসমিসের পানি খায় তাদের দেহে অনেক উপকার সাধিত হয়। কিসমিসের পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি দাঁতের সমস্যা দূর করতেও কিসমিসের পানি সাহায্য করে থাকে। কারণ কিসমিসের পানিতে বিদ্যমান ওলিয়ানোলিক এসিড ও ফাইটোক্যমিক্যাল এর দাঁতের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে। এর পাশাপাশি কিসমিসের পানিতে বিদ্যমান গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কেউ যদি শুকনো কিসমিস খেতে পছন্দ না করে কিংবা শুকনো কিসমিসের মিষ্টি জাতীয় স্বাদ পছন্দ না করে, তাহলে সেও কিন্তু কিসমিসের উপকার থেকে বঞ্চিত হবে না। বরং কিসমিসের পানি খাওয়ার মাধ্যমে এতগুলো উপকার পাওয়া সম্ভব।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস খাবার যদিও অনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। পুষ্টিবিদরা সাধারণত সকালের নাস্তা খাওয়ার সময় কিসমিস রাখতে বলেন। এতে করে সকালবেলা কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে শক্তি উৎপাদন হয় এবং সারাটা দিনই ভালো কাটে।
আপনি চাইলে শুকনো কিসমিস খেতে পারেন অথবা চাইলে কিসমিস পানিতে ভিজিয়েও খেতে পারেন। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আপনার ওপর। আপনি যদি আরেকটু উপকার পেতে চান তাহলে কিসমিসের সাথে বাদাম কিংবা খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন। সাথে যুক্ত করতে পারেন কিছুটা পরিমাণ মধু।
কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি তা নিয়ে তো এতক্ষণে অনেক ধারণা পেয়ে গেলেন। এখন প্রশ্ন হলো কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা আছে কি? উত্তর হল অবশ্যই আছে। আপনি যদি পরিমাণের তুলনায় বেশি করে কিসমিস খেয়ে ফেলেন, তাহলে অবশ্যই বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ-
- কিসমিসে থাকা ফাইবারের কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে তা হজমে সমস্যা করতে পারে।
- কিসমিস মুলত উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে অতিরিক্ত ওজনও বাড়তে পারে।
- কিসমিসের মধ্যে চিনি থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা হতে পারে।
- অনেকের কিসমিস খেলে এলার্জি হয় তাই এলার্জি হতে পারে।
অবশ্যই পরিমাণমতো নিয়ম করে কিসমিস খাওয়া আমাদের প্রত্যেকের জন্যই প্রয়োজন। আমরা যদি আমাদের দেহের উচ্চতা এবং ওজন অনুযায়ী পরিমিত কিসমিস খেতে পারি,তাহলে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি কিসমিস এর উপকারিতা কি এবং কিসমিস নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন এবং কিসমিস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকেন, তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।
সাধারণ জিজ্ঞাসা
১) কিসমিস খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ কিসমিস মূলত উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার। সুতরাং অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরিমাণ মতো যদি খাওয়া হয় তবে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২) রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়?
উত্তরঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে এটি তাদের যৌন দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে ভালো ঘুম হয়।
৩) সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা?
উত্তরঃ- সকালে কিসমিস খাওয়ার তেমন বিশেষ উপকারিতা নেই। কারণ দিনের যে কোন অংশেই আপনি কিসমিস খেলে এর উপকারিতা পাবেন।
৪) কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা?
উত্তরঃ কিসমিস খাবার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। আপনি চাইলে সকালে পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খেতে পারেন। অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বেও খেতে পারেন। অথবা শুকনো কিসমিস দিনের যেকোনো একটা অংশে খেতে পারেন।
কিসমিসের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা, রক্তশূন্যতা দূর করা, দেহে রক্ত তৈরি, দুর্বল ভাব দূর করা, ত্বক এবং চুল সুন্দর রাখা,রাতের ঘুম, যৌন দুর্বলতা কমানো, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার মত কাজে সাহায্য করে।
৫) কিসমিস বেশি খেলে কি হয়?
উত্তরঃ অতিরিক্ত পরিমাণ কিসমিস খেলে এলার্জি, মোটা হওয়া, হজমে সমস্যা হতে পারে।
৬) প্রতিদিন কতটি কিসমিস খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটি কিসমিস খাওয়া উচিত।
৭) খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা?
উত্তরঃ খেজুর এবং কিসমিস দুটোই হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন খাবার। তাই এর উপকারিতা অনেক। খেজুর এবং কিসমিস একসাথে খেলে দেহের শক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এর পাশাপাশি দেহের যাবতীয় রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।