ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম, দাম, উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন।

ফেমিকন খাওয়ায় নিয়ম,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে ফেমিকন খেলে ভালো হয়। ফেমিকনের কাজ কি তা হয়তো অনেকেই জানে না। ফেমিকন মূলত একটি গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রক ঔষধ বা পিল। যা ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভধারণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত খেতে হয়। এক কথায় ফেমিকন হল স্বল্প মেয়াদী একটি পিল বা ঔষধ যা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেনা। ফেমিকন খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই ফেমিকন পিল খাওয়ার পরও গর্ভধারণ করে ফেলে। আজকের আর্টিকেলে আমি ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা করব। সুতরাং অবশ্যই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

ফেমিকন খাওয়ায় নিয়ম,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে ফেমিকন খেলে ভালো হয়। ফেমিকনের কাজ কি তা হয়তো অনেকেই জানে না। ফেমিকন মূলত একটি গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রক ঔষধ বা পিল। যা ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভধারণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত খেতে হয়। এক কথায় ফেমিকন হল স্বল্প মেয়াদী একটি পিল বা ঔষধ যা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।  ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেনা। ফেমিকন খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই ফেমিকন পিল খাওয়ার পরও গর্ভধারণ করে ফেলে। আজকের আর্টিকেলে আমি ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা করব। সুতরাং অবশ্যই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

ফেমিকন কি? ফেমিকন এর কাজ কি?

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা দরকার ফেমিকন এর কাজ কি? ফেমিকন কি? ফেমিকোন হলো এক ধরনের স্বল্প মেয়াদী গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রক পিল। যে পিল খাওয়ার মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিরাপদ গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, এই ধরনের মিশ্র বড়ি বা পিল খেলে ৯৯.৯ শতাংশ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তবে অবশ্যই ফেমিকন পিল সঠিক নিয়মে খেতে হবে।

কোন মহিলা যদি তার অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনিরাপদ গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাহলে এই পিলটি তার জন্য খুবই কার্যকারী একটি পিল। এই পিলের মধ্যে সর্বমোট ২৮ টি পিল থাকে। এর মধ্যে ২১ টি পিল হলো সাদা বড়ি। এবং বাকি সাতটি পিল হল খয়েরী বড়ি।

এই পিলগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু হরমোন, যা সহবাসের পর শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুকে মিলিত হতে দেয় না। যার ফলে ডিম্বস্ফুটন বা ওভুলেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে সহবাস করার পরও অনিরাপদ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের চিন্তা আর থাকে না। তবে ফেমিকন পিল খেয়ে উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই এটি সঠিক নিয়মে গ্রহণ করা উচিত।

ফেমিকন পিল কেন খায়-ফেমিকন খেলে কি হয়?

ফেমিকন পিল কেন খায়? ফেমিকন খেলে কি হয়? ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম কি? এমন অনেক প্রশ্ন সাধারণত মহিলারা google এর মধ্যে সার্চ করে থাকে। ফেমিকন পিল হল এক ধরনের মিশ্র বড়ি। সহবাসের পর অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনিরাপদ গর্ভধারণ প্রতিরোধের জন্যই এই পিল খাওয়া হয়।

সহবাসের পর মাসিকের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এই পিল খেতে হয়। এবং এই পিল খাওয়ার মূল কারণ হলো যাতে সঠিক সময়ে মাসিক হয়ে যায়। এর ফলে সন্তান গর্ভধারণের ঝুঁকি আর একজন নারীর থাকে না। এই পিল অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করতে হয়।

নিয়ম অনুযায়ী ফেমিকন পিল না খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে পুরো মাস জুড়ে ফেমিকন পিল খাওয়ার পরও একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারে। মূল কথা হলো ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে সহবাসের পর যাতে গর্ভধারণের কোন ঝুঁকি না থাকে সেজন্য এই ফেমিকন পিল খাওয়া হয়। অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যত ধরনের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হল পিল খাওয়া। আর সেই পিলের মধ্যে একধরনের গর্ভনিরোধক পিল হিসেবে ফেমিকন পিল খেতে হয়।


ফেমিকন পিল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানা থাকলে এই পিল খেয়ে অবশ্যই উপকার পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই এই ফেমিকন পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। ফেমিকন পিলের মধ্যে আছে সিনথেটিক স্টেরয়েড হরমোন। এবং এই হরমোনটি হলো এক ধরনের একক হরমোন। এই পিলে আছে এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টিন হরমোন। যা খাওয়ার মাধ্যমে একজন নারীর ডিম্বাণু নিঃরণ বন্ধ থাকে। ফলে সহবাসের পরও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না। তবে এই হরমোন অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু অপকারিতা ও আছে।

ফেমিকন পিল এর উপকারিতাঃ

  • ফেমিকন পিল এর অন্যতম একটি উপকারিতা হলোও গর্ভপাত করতে হয় না। গর্ভপাত করা ছাড়াই সহবাসের পরও গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রন করা যায়।
  • গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। যেমন মাসিক ইনজেকশন গ্রহণ করা, কাঠির ব্যবহার ও এমআরআই। তবে এই পিল খেলে এসব কিছুরই প্রয়োজন হয় না।
  • গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণের বাকি সব পদ্ধতিগুলোর সাধারণত কিছুটা ব্যয়বহুল। তবে ফেমিকন পিল অল্প টাকা দিয়ে কিনে এটি ব্যবহার করা যায়।
  • সহবাসের পর ফেমিকন পিল খেলে যেমন গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না, এর পাশাপাশি সঠিক সময়ে মাসিক সম্পন্ন হয়ে যায়। ফলে একজন নারীকে আর দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয় না।
  • খুব সস্তায় যেকোনো ফার্মেসির দোকানে এই ওষুধটি পাওয়া যায়।
  • সহজলভ্য এবং দামে কম হওয়ার কারণে অনেকেই এই ফেমিকন পিলটি কিনে খেতে পারে।

ফেমিকন পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অপকারিতাঃ

  • ফেমিকন পিল খাওয়ার পরও চর্ম ও যৌন রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ এই পিল চর্ম ও যৌন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে না।
  • অনেকদিন ধরে এই পিল খাওয়ার ফলে নারীদের স্তনে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা হতে পারে।
  • অত্যধিক পরিমাণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হওয়া।
  • সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে ফেমিকন পিল না খেলে অনেক সময় গর্ভধারণও অনেকে করে ফেলতে পারে।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়ম করে এই পিল খেতে হয়। না খেলেই গর্ভধারণের অনেক ঝুঁকি থেকে যায়।

ফেমিকন পিল খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? 

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে গেলেন। এখন আপনি কি জানতে চাচ্ছেন ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়? আগেই বলেছি যে ফেমিকন পিলের মধ্যে মোট ২৮ টি পিল থাকে। যখনই সাদা পিল গুলো খাওয়া সম্পন্ন হবে এবং যখন একজন নারী সাদা পিল খাওয়া।সম্পন্ন করে লাল পিলগুলো খাওয়া শুরু করবে,লাল পিল খাওয়া অবস্থাতেই সাধারণত তার মাসিক হয়ে যায়।

ফেমিকন পিলের মধ্যে সর্বমোট সাতটি লাল পিল বা খয়রি বড়ি থাকে। অর্থাৎ যখন ২১ টি সাদা পিল ২১ দিনে খাওয়ার সম্পন্ন হয়ে যাবে, তারপরেই সেই সাতটি লাল পিল খাওয়া শুরু করতে হবে। এবং লালগুলো দুই থেকে তিনদিন খাওয়ার মধ্যেই একজন নারীর মাসিক হয়ে যায়।

এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে মাসিক হয়ে যাওয়ার পরও কিন্তু সেই লাল পিল খাওয়া বন্ধ দেওয়া যাবে না। অবশ্যই লাল পিলে পুরো সাতটি সম্পন্ন করতে হবে। এবং পুরো ২৮ টি বড়ি সম্পন্ন করার পর পুনরায় নতুন পাতা কিনে পিল খাওয়া শুরু করতে হবে। মূল কথা হলো সাধারণত ফেমিকন পিল খাওয়ার ২৬ থেকে ২৭ জনের মধ্যেই একজন মহিলার মাসিক শুরু হয়ে যায়।

ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম-ফেমিকন খাওয়ার নিয়মাবলী

ফেমিকন পিল হলো এক ধরনের স্বল্প মেয়াদী গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি। ফেমিকন পিলের সর্বমোট ২৮ টি বড়ী থাকে। সর্বমোট ২১ টি সাদা বড়ি ও সাতটি লাল বড়ী নিয়ে একটি ফেমিকন পিলের পাতা তৈরি হয়। ফেমিকন পিল যদি কেউ সঠিক নিয়মে খেতে পারে তবে এটি গর্ভধারন নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলঃ

  • মাসিক শুরুর হওয়ার প্রথম দিন থেকে ফেমিকন পিল খাওয়া শুরু করতে হবে।
  • মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন ২১ টি সাদা বড়ী থেকে শুরু করতে হবে। পীলের গায়ে আঙুল এর চিহ্ন আছে। সে অনুযায়ী বড়ী খেয়ে যেতে হবে৷
  • মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে মোট ২১ দিনে পাতার গায়ের দেওয়া হিহ্ন অনুযায়ী ২১ টি সাদা বড়ি খেতে হবে।
  • ২১ টি সাদা বড়ি খাওয়ার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে লাল বড়িগুলো খাওয়া শুরু করতে হবে। এবং অবশ্যই পিলের গায়ের চিহ্ন অনুযায়ী লাল বড়ি গুলো খেতে হবে।
  • সাতটি লাল বড়ী সাত দিনে সম্পন্ন করতে হবে।
  • লালবড়ি খাওয়ার সময় মাসিক শুরু হবে। মাসিক শুরু হলেও লাল বড়ি গুলো খেয়ে শেষ করতে হবে।
  • এরপর পুরো পাতা খাওয়া শেষ হয়ে গেলে আবারও নতুন পাতা দিয়ে শুরু করতে হবে।
  • প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হবে। এবং চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় করে বড়ি খাওয়ার।
  • পিল গুলো চুষে না খেয়ে অবশ্যই পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে।

ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম মেনে অবশ্যই একজন নারীর ফেমিকন পিল খাওয়া উচিত। আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন ফেমিকন খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায়। এর উত্তর হল যখন ফেমিকন পিল এর লাল বড়িগুলো খাওয়ার সময় আসবে বড়িগুলো খাওয়ার সময় আসবে, তখন কোনভাবেই সহবাস করা যাবে না। এর কারণ হলো লাল পিল গুলো যখন একজন নারী খাওয়া শুরু করবে, তখন সেগুলো খাবার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তার মাসিক হয়ে যাবে।

এখন সেই মুহূর্তে যদি একজন নারী সহবাস করে, তাহলে তার গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে যায়। অর্থাৎ একজন নারী যখন তিনি ফেনিকন পিল খাবে তখন পিলে বিদ্যমান ২১ টি সাদা বড়ি খাওয়া অবস্থাতে তিনি সহবাস করতে পারবেন। একুশটি বড়ি খাওয়ার পর যখন সাতটি লাল বড়ি খাওয়ার সময় আসবে, এবং যখন সাতটি লাল বড়ি খাওয়া শুরু করবে তখন কিছুতেই সহবাস করা যাবে না। তাহলে একজন নারী গর্ভবতী হয়ে যেতে পারে।

ফেমিকন এর দাম কত?

ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানার ইচ্ছা যেমন অনেকের আছে। আবার অনেকেই জানতে চায়। ফেমিকন পিল এর দাম কত? ফেমিকন পিল এর দাম সাধারণত উঠা নামা করে থাকে। আবার জায়গা বিশেষে একেক ধরনের ফার্মেসিতে একেক ধরনের দাম রেখে থাকে। সাধারণত একপাতা ফেমিকন পিল এর দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

এবং এই ফেমিকন পিলে সর্বমোট ২১ টি সাদা বড়ি এবং সাতটি লাল বড়ি থাকে। অর্থাৎ আপনি মোটামোটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে একটি ফেমিকন পিলের পাতা কিনে নিতে পারবেন। আর যেহেতু এক মাস ধরে এই ওষুধটি খেতে হয়, এক্ষেত্রে পুরো বছরের মাত্র ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার ওষুধ আপনাকে কিনতে হবে।

ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা?

ফেমিকোন খাওয়ার নিয়ম জানতে চাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই জানতে চায় যে এই ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা থাকে? এর উত্তর হল ফেমিকন পিল হল একটি স্বল্প মেয়াদী গর্ভনিয়ন্ত্রণকারী পিল। যার কার্যকারিতা ততদিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন পর্যন্ত আপনি এই পিল খেয়ে যাবেন। এই পিলের মধ্যে সর্বমোট ২৮ টি বড়ী থাকে। যা পুরো একটানা ২৮ দিন পর্যন্ত খেতে হয়।

এবং যতদিন পর্যন্ত আপনি এই পিল খেয়ে যাবেন ততদিন পর্যন্ত আপনার গর্ভধারণের ঝঁকি থাকবে না। যখনই আপনি এই পিল খাওয়া ছেড়ে দেবেন এবং সহবাস করবেন তখনই আপনার গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে যাবে। সুতরাং পেমিকন পিলের কার্যকারিতা হলো যতদিন পর্যন্ত আপনি এই পিল খাবেন,ততদিন পর্যন্ত এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তবে অবশ্যই এটি সঠিক নিয়মে খেতে হবে।

প্রথমবার পিল খাওয়ার নিয়ম

সদ্য কিংবা নতুন বিবাহ হওয়া অনেক মেয়ে চায় দেরিতে গর্ভধারণ করতে। আর কি জন্য তারা গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি হিসেবে পিলকেই বেছে নেয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই জানতে চায় প্রথমবার পিল খাওয়ার নিয়ম কি? মূলত বাজারে অনেক ধরনের পিল পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু পিল আছে যেগুলো সহবাসের ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই খেতে হয়।

আবার কিছু কিছু পিল আছে যেগুলো মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে শুরু করে পুরো মাস খেতে হয়। আর সেগুলো ও মূলত স্বল্পমেয়াদি জন্মনিরোধক পদ্ধতি। যেমন ফেমিকন। সেক্ষেত্রে কোন মেয়ে যদি প্রথমবার পিল খেতে চায় তাহলে সে তার মাসিকের প্রথম দিন থেকে পিল খাওয়া শুরু করবে। এবং মাসিক শুরু হয়ে যাওয়ার পরও পুরো এক মাস ধরেই পিল খেতে হবে। এবং এই পিল খাওয়া পদ্ধতিটি সে ততদিন চালিয়ে যাবে যতদিন না পর্যন্ত গর্ভধারণ করতে চাইছে।

আর কেউ যদি স্বল্প মেয়াদী গর্ভনিরোধক পিল গুলো খেতে না চায়, কিংবা স্বল্পমেয়াদি গর্ভনিরোধক পিল গুলো খেলে তার শরীরে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে সে একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্য সকল পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। কিংবা সহবাসের পর ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে পিল গুলো খেতে হয় সেগুলো খেতে পারে। আর এই ধরনের পিলগুলো সাধারণত একটি পিল থাকে। অর্থাৎ সহবাসের ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র একটি পিল খেতে হয়।

লাল পিল খাওয়ার নিয়ম

মূলত স্বল্প মেয়াদী গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট গুলোর মধ্যেই লাল পিল বা খয়েরী বড়ি থাকে। সাধারণত বাজারের অধিকাংশ স্বল্প মেয়াদী গর্ভনিরোধক পিল বা মিশ্রবড়ীর মধ্যেই মোট ২৮ টি বড়ি থাকে। এর মধ্যে সর্বমোট ২১,টি বড়ি থাকে যেগুলো হলো সাদা। এবং বাকি সাতটি হল লাল। আর অনেকেই জানতে চাই যে এই লাল পিল খাওয়ার নিয়ম কি?

লাল পিল খাওয়ার নিয়ম হলো মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ২১ দিনে মোট ২১ টি সাদা বড়ি খেতে হবে। এরপর পিলের গায়ে যে চিহ্ন বা আঙ্গুলের চাপ দেওয়া আছে সে চিহ্ন অনুযায়ী ৭ দিনে মতো সাতটি লাল বড়ি খেতে হবে। এবং লাল বড়ী গুলো খাওয়া অবস্থাতেই একজন মহিলার মাসিক শুরু হয়ে যায়। এই লালবড়ি খাওয়ার মাধ্যমে দেহের লৌহের পরিমাণ বাড়ে। আর মাসিক শুরু হয়ে যাওয়ার পরও কিন্তু এই লালবড়ি খাওয়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বরং এটি শেষ করতে হবে।

ফেমিকন পিল খেতে ভুলে গেলে কি করবেন?

ফেমিকন খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে গেলেন। এবার অনেকে অনেক পিল খাওয়ার সময় ভুলবশত পিল খেতে ভুলে যান। নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট নিয়মে পিল খেতে ভুলে গেলে কি করবেন? চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো কেউ যদি পিল খেতে ভুলে যায় তাহলে সে যেন আগের দিনের পিলটি মনে পড়ার সাথে সাথেই নির্দিষ্ট নিয়মে খেয়ে ফেলে। আবার কেউ যদি পিল খাওয়া ভুলে যায়, তাহলে সে যেন পর দিন দুটি পিল খেয়ে ফেলে। এর পাশাপাশি সেই দিনের পিল ও যেন খায়।

ধরুন আপনি আজকের পিলটি খেতে ভুলে গেছেন। এক্ষেত্রে আগামীকাল যদি আপনার পিল খাওয়ার কথা মনে পড়ে তাহলে আপনি সাথে সাথে সেই পিলটি খেয়ে ফেলবেন। এবং আগামীকালের পিলটিও রাতে খেয়ে ফেলবেন। এবার যদি দুই দিনের পিল খেতে ভুলে যান তাহলে,অবশ্যই মনে পরলে দুই দিনের পিল একসাথে খাবেন এবং কিছুটা সময় গ্যাপ দিয়ে সেই দিনের পিলটিও খাবেন।

তবে আপনি যদি একটি কাগজের মধ্যে লিখে রাখেন,তাহলে পিল খেতে আর ভুল করবেন না। কিন্তু কোনভাবেই পিল বন্ধ করা যাবে না। তাহলে গর্ভধারণ হয়ে যাবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ফেমিকন পিল কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে জেনে গেছেন। সুতরাং উপকারী এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। যেন বাকিরা ও ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *