নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান ফাইনাল সাজেশন ২০২৫: পরীক্ষায় A+ পাওয়ার সেরা প্রস্তুতি (SSC Accounting)

নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান (SSC Accounting) পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সাজেশন ২০২৫। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, অঙ্ক ও বহুনির্বাচনি টিপস জেনে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর নিশ্চিত করুন।

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে তাই নয়, বাস্তব জীবনে আর্থিক শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এসএসসি পরীক্ষার জন্য হিসাববিজ্ঞানের প্রস্তুতিকে সহজ ও কার্যকর করতে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ সাজেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করা হলো।

নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান (SSC Accounting) পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সাজেশন ২০২৫। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, অঙ্ক ও বহুনির্বাচনি টিপস জেনে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর নিশ্চিত করুন। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে তাই নয়, বাস্তব জীবনে আর্থিক শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এসএসসি পরীক্ষার জন্য হিসাববিজ্ঞানের প্রস্তুতিকে সহজ ও কার্যকর করতে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ সাজেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করা হলো।
নবম-দশম শ্রেণি হিসাববিজ্ঞান ফাইনাল সাজেশন ২০২৫: পরীক্ষায় A+ পাওয়ার সেরা প্রস্তুতি (SSC Accounting)

Table of Contents

হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সাধারণ প্রস্তুতিমূলক টিপস:

হিসাববিজ্ঞানে ভালো করতে হলে কিছু মৌলিক বিষয় এবং কৌশল আয়ত্তে রাখা জরুরি:

  • পাঠ্যবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া: NCTB প্রদত্ত হিসাববিজ্ঞান বইটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। প্রতিটি অধ্যায়ের মূল ধারণা, সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও নিয়মাবলি ভালোভাবে বুঝতে হবে।
  • নিয়মিত অনুশীলন: হিসাববিজ্ঞান একটি অনুশীলননির্ভর বিষয়। বইয়ের প্রতিটি উদাহরণ ও অনুশীলনী মনোযোগ দিয়ে সমাধান করতে হবে।
  • থিওরি ও অঙ্ক উভয়ের গুরুত্ব: শুধুমাত্র অঙ্ক করলেই হবে না, থিওরি বা বর্ণনামূলক প্রশ্নগুলোর জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে লিখতে পারা জরুরি।
  • ছক ও ফরম্যাট মনে রাখা: জাবেদা, খতিয়ান, নগদান বই, রেওয়ামিল, আর্থিক বিবরণী ইত্যাদির সঠিক ছক বা ফরম্যাট মনে রাখতে হবে এবং অঙ্ক করার সময় তা অনুসরণ করতে হবে।
  • ক্যালকুলেটরের সঠিক ব্যবহার: পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি থাকলে তার সঠিক ও দ্রুত ব্যবহার আয়ত্ত করতে হবে।
  • বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ: বিগত বছরগুলোর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করলে প্রশ্নের ধরণ, মান বণ্টন এবং গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়।
  • সময় ব্যবস্থাপনা: পরীক্ষার হলে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রেখে উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে। কোনো একটি প্রশ্নের পেছনে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা যাবে না।
  • হাতের লেখা ও পরিচ্ছন্নতা: উত্তরপত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং স্পষ্ট অক্ষরে লেখা ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে।

গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ভিত্তিক সাজেশন:

নিচে নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান বইয়ের অধ্যায়গুলোর গুরুত্ব অনুসারে একটি সাজেশন দেওয়া হলো:

সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় (এগুলো থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা খুব বেশি):

১. লেনদেন (দ্বিতীয় অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: লেনদেনের ধারণা ও প্রকৃতি/বৈশিষ্ট্য, হিসাব সমীকরণ (A=L+OE) ও এর প্রভাব বিশ্লেষণ, চালান, ভাউচার (ডেবিট ও ক্রেডিট), ক্যাশমেমো, ডেবিট নোট ও ক্রেডিট নোট প্রস্তুতকরণ।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: লেনদেন শনাক্তকরণ, হিসাব সমীকরণের প্রভাব দেখানো, প্রমাণপত্র প্রস্তুতকরণ।
  • টিপস: হিসাব সমীকরণের প্রতিটি লেনদেনের প্রভাব ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। বিভিন্ন প্রমাণপত্রের ছক মনে রাখতে হবে।

২. দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি (তৃতীয় অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির ধারণা ও মূলনীতি/বৈশিষ্ট্য, ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়মাবলি, হিসাব চক্রের ধাপসমূহ, একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে লাভ/ক্ষতি নির্ণয়।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: লেনদেন থেকে ডেবিট-ক্রেডিট পক্ষ চিহ্নিতকরণ, হিসাব চক্রের ধাপ বর্ণনা, একতরফা দাখিলার অঙ্ক।
  • টিপস: ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়ের সূত্রগুলো (সম্পদ বাড়লে ডেবিট, কমলে ক্রেডিট ইত্যাদি) ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে।

৩. জাবেদা (ষষ্ঠ অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: জাবেদার ধারণা ও গুরুত্ব, সাধারণ জাবেদা দাখিলা প্রদান, বিশেষ জাবেদা (ক্রয় জাবেদা, বিক্রয় জাবেদা, ক্রয় ফেরত জাবেদা, বিক্রয় ফেরত জাবেদা, নগদ প্রাপ্তি ও নগদ প্রদান জাবেদা) প্রস্তুতকরণ, বাট্টা ও এর প্রকারভেদ।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: সাধারণ জাবেদা, ক্রয় জাবেদা, বিক্রয় জাবেদা, নগদ প্রাপ্তি/প্রদান জাবেদা প্রস্তুতকরণ।
  • টিপস: বিভিন্ন প্রকার লেনদেনের সঠিক জাবেদা দাখিলা দেওয়ার জন্য প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। কারবারি বাট্টা ও নগদ বাট্টার পার্থক্য ও প্রয়োগ বুঝতে হবে।

৪. খতিয়ান (সপ্তম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: খতিয়ানের ধারণা ও গুরুত্ব, T ছক ও চলমান জের ছকে খতিয়ান প্রস্তুত, হিসাবের জের নির্ণয় (ব্যালেন্সিং), সাধারণ খতিয়ান ও সহকারী খতিয়ান।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: জাবেদা থেকে খতিয়ান প্রস্তুতকরণ (T ছক বা চলমান জের ছক)।
  • টিপস: পোস্টিং ও ব্যালেন্সিং সঠিকভাবে করতে পারা জরুরি। চলমান জের ছক তুলনামূলক সহজ এবং বর্তমানে বেশি প্রচলিত।

৫. নগদান বই (অষ্টম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: নগদান বইয়ের ধারণা ও প্রকারভেদ, একঘরা, দুঘরা ও তিনঘরা নগদান বই প্রস্তুতকরণ, কন্ট্রা এন্ট্রি, ব্যাংক জমাতিরিক্ত।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: একঘরা, দুঘরা বা তিনঘরা নগদান বই প্রস্তুতকরণ।
  • টিপস: কন্ট্রা এন্ট্রি (Contra Entry) এবং নগদ বাট্টা ও ব্যাংক কলামের ব্যবহার ভালোভাবে বুঝতে হবে।

৬. রেওয়ামিল (নবম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: রেওয়ামিলের ধারণা, উদ্দেশ্য ও প্রস্তুত প্রণালি, কোন কোন দফা রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হয় না, অনিশ্চিত হিসাব।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: খতিয়ানের উদ্বৃত্ত থেকে রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ।
  • টিপস: কোন হিসাবের জের ডেবিট দিকে এবং কোন হিসাবের জের ক্রেডিট দিকে বসে তা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। সাধারণত, সম্পদ ও ব্যয়বাচক হিসাবের জের ডেবিট এবং দায়, মালিকানা স্বত্ব ও আয়বাচক হিসাবের জের ক্রেডিট হয়।

৭. আর্থিক বিবরণী (দশম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: বিশদ আয় বিবরণী, মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তন বিবরণী এবং আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুতকরণ। বিভিন্ন প্রকার সমন্বয় দাখিলার প্রভাব।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: রেওয়ামিল ও সমন্বয় দাখিলা থেকে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতকরণ (সাধারণত বিশদ আয় বিবরণী ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী)।
  • টিপস: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি নম্বরের অধ্যায়। আর্থিক বিবরণীর প্রতিটি উপাদানের সঠিক স্থান এবং সমন্বয়ের প্রভাব ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। মোট লাভ, নীট লাভ, চলতি সম্পদ, স্থায়ী সম্পদ, চলতি দায়, দীর্ঘমেয়াদী দায়, মালিকানা স্বত্ব ইত্যাদি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় (এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসে):

৮. মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন (চতুর্থ অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেনের ধারণা ও পার্থক্য, মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি/আয় ও ব্যয়, মুনাফা জাতীয় প্রাপ্তি/আয় ও ব্যয়, বিলম্বিত মুনাফা জাতীয় ব্যয়।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: লেনদেন থেকে মূলধন ও মুনাফা জাতীয় আইটেম পৃথকীকরণ, পরিমাণ নির্ণয়।
  • টিপস: কোন লেনদেন কেন মূলধন জাতীয় বা মুনাফা জাতীয় তার কারণসহ বুঝতে হবে।

৯. হিসাব (পঞ্চম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: হিসাবের ধারণা ও শ্রেণিবিভাগ (সম্পদ, দায়, মালিকানা স্বত্ব, আয়, ব্যয়), হিসাবের ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয় নীতি।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: বিভিন্ন প্রকার হিসাব চিহ্নিতকরণ, ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়।
  • টিপস: এটি দুতরফা দাখিলা ও জাবেদার ভিত্তি। প্রতিটি হিসাবের শ্রেণি ও স্বাভাবিক জের (ডেবিট/ক্রেডিট) মনে রাখতে হবে।

তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ তবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত:

১০. হিসাববিজ্ঞান পরিচিতি (প্রথম অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: হিসাববিজ্ঞানের ধারণা, উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, হিসাব তথ্যের ব্যবহারকারী, মূল্যবোধ ও জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে হিসাববিজ্ঞানের ভূমিকা।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন।
  • টিপস: অধ্যায়টি ভালোভাবে রিডিং পড়লে উত্তর করা সহজ হবে।

১১. পণ্যের ক্রয়মূল্য, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্য (একাদশ অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: ক্রয়মূল্য, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্য নির্ণয়, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয়।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: ছোট ছোট অঙ্ক বা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন।
  • টিপস: সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে এবং প্রয়োগ বুঝতে হবে।

১২. পারিবারিক ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগের হিসাব (দ্বাদশ অধ্যায়):

  • গুরুত্বপূর্ণ টপিক: পারিবারিক বাজেট, প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব, আয়-ব্যয় বিবরণী, আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্পের আয়-ব্যয় ও লাভ-ক্ষতি নির্ণয়।
  • প্রশ্ন আসতে পারে: প্রাপ্তি-প্রদান হিসাব বা আয়-ব্যয় বিবরণী প্রস্তুতকরণ।
  • টিপস: এই অধ্যায়ের অঙ্কগুলো তুলনামূলক সহজ, অনুশীলন করলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি:

  • প্রতিটি অধ্যায়ের মূল ধারণা, সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য ভালোভাবে পড়তে হবে।
  • বইয়ের প্রতিটি লাইনের নিচে দাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
  • বিভিন্ন হিসাবের শ্রেণি, ডেবিট-ক্রেডিট জের, হিসাব সমীকরণের প্রভাব ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে।
  • বিভিন্ন প্রমাণপত্র (চালান, ভাউচার ইত্যাদি) এবং সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।
  • বিগত বছরের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন এবং বিভিন্ন মডেল টেস্ট সমাধান করতে হবে।

সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি:

  • উদ্দীপক ভালোভাবে পড়া: উদ্দীপকে দেওয়া তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং কী চাওয়া হয়েছে তা বুঝতে হবে।
  • প্রশ্নের উত্তর ধাপে ধাপে লেখা: ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ অংশের উত্তর আলাদাভাবে লিখতে হবে।
  • সঠিক ছক ব্যবহার: জাবেদা, খতিয়ান, নগদান বই, রেওয়ামিল, আর্থিক বিবরণীর জন্য সঠিক এবং পরিচ্ছন্ন ছক আঁকতে হবে।
  • গণনায় সতর্কতা: হিসাবের অঙ্ক করার সময় ক্যালকুলেটর সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে যেন কোনো ভুল না হয়।
  • ব্যাখ্যা (যদি প্রয়োজন হয়): কিছু ক্ষেত্রে, যেমন জাবেদায়, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া ভালো।

আরও পড়ুনঃ আস্তাগফিরুল্লাহ দোয়া: অর্থ, ফজিলত ও ক্ষমা লাভের উপায়

এসএসসি হিসাববিজ্ঞান: নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও অনুশীলন

এসএসসি পরীক্ষার হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ভালো প্রস্তুতির জন্য সৃজনশীল প্রশ্নের ধরণ বোঝা এবং সেগুলো অনুশীলন করা অত্যন্ত জরুরি। তোমাদের সুবিধার জন্য এখানে “নবম-দশম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান ফাইনাল সাজেশন” অনুসারে কিছু নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হলো। এই প্রশ্নগুলো অনুশীলন করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ১ (লেনদেন ও হিসাব সমীকরণ – অধ্যায় ২)

জনাব করিম ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে নগদ ৫০,০০০ টাকা, ১৫,০০০ টাকার আসবাবপত্র এবং ১০,০০০ টাকার পণ্যদ্রব্য নিয়ে “করিম ট্রেডার্স” নামে ব্যবসা শুরু করেন। উক্ত মাসে তার ব্যবসায়ের অন্যান্য লেনদেনগুলো নিম্নরূপ:

  • জানুয়ারি ৩: সোনালী ব্যাংকে ২০,০০০ টাকা জমা দিয়ে একটি হিসাব খোলা হলো।
  • জানুয়ারি ৭: নগদে পণ্য ক্রয় করা হলো ৮,০০০ টাকা।
  • জানুয়ারি ১০: ধারে পণ্য বিক্রয় করা হলো ১২,০০০ টাকা (চালান নং- ১০১)।
  • জানুয়ারি ১৫: অফিসের জন্য ৫,০০০ টাকার একটি ক্যালকুলেটর ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হলো।
  • জানুয়ারি ২০: মালিক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবসা থেকে ২,০০০ টাকা উত্তোলন করেন।
  • জানুয়ারি ২৫: ধারে বিক্রিত পণ্যের অর্থ বাবদ ১০,০০০ টাকা পাওয়া গেল।
  • জানুয়ারি ৩০: কর্মচারীর বেতন বাবদ ৩,০০০ টাকা প্রদান করা হলো।

করণীয়:

ক) প্রারম্ভিক মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় কর। (২)

খ) জানুয়ারি ৩, ৭, ২০ ও ৩০ তারিখের লেনদেনগুলোর হিসাব সমীকরণের (A = L + OE) উপর প্রভাব দেখাও। (৪)

গ) জানুয়ারি ১০ তারিখের লেনদেনের ভিত্তিতে একটি চালান প্রস্তুত কর। (৪)

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ২ (দুতরফা দাখিলা ও জাবেদা – অধ্যায় ৩, ৬)

“রহমান এন্ড সন্স” এর ২০২১ সালের মার্চ মাসের কতিপয় লেনদেন নিচে দেওয়া হলো:

  • মার্চ ১: জনাব রহমান নগদ ৫০,০০০ টাকা এবং ২০,০০০ টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করলেন।
  • মার্চ ৫: অফিসের জন্য ১০,০০০ টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করা হলো।
  • মার্চ ৮: পণ্য বিক্রয় করে নগদে ১৫,০০০ টাকা এবং চেকে ১০,০০০ টাকা পাওয়া গেল।
  • মার্চ ১২: কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হলো ৫,০০০ টাকা।
  • মার্চ ১৫: ব্যাংক হতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে উত্তোলন ৩,০০০ টাকা এবং ব্যবসায়ের প্রয়োজনে উত্তোলন ৪,০০০ টাকা।
  • মার্চ ২০: ধারে পণ্য ক্রয় করা হলো ৭,০০০ টাকা ( চালান নং – ২০৫, বিক্রেতা – মমিন ট্রেডার্স)।
  • মার্চ ২৫: মমিন ট্রেডার্সকে ৫% বাট্টায় পরিশোধ করা হলো।

করণীয়:

ক) ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যাংক হতে উত্তোলনের জন্য দুতরফা দাখিলার পক্ষ দুটি উল্লেখ কর। (২)

খ) মার্চ ১, ৮, ১৫ ও ২৫ তারিখের লেনদেনগুলোর সাধারণ জাবেদা দাখিলা দাও। (৪)

গ) লেনদেনগুলোর ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক কারণ ব্যাখ্যা কর (যেকোনো ৪টি লেনদেন)। (৪)

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ (খতিয়ান ও নগদান বই – অধ্যায় ৭, ৮)

“শাহীন স্টোরস” এর ২০২২ সালের মে মাসের কিছু লেনদেন নিম্নরূপ:

  • মে ১: নগদ উদ্বৃত্ত ২০,০০০ টাকা এবং ব্যাংক জমার ডেবিট উদ্বৃত্ত ৩০,০০০ টাকা।
  • মে ৫: নগদে পণ্য বিক্রয় ১৫,০০০ টাকা।
  • মে ৮: চেকের মাধ্যমে অফিসের ভাড়া প্রদান ৮,০০০ টাকা।
  • মে ১২: কামাল ট্রেডার্সের নিকট থেকে ১০,০০০ টাকার পণ্য ক্রয় করে নগদে ৫,০০০ টাকা এবং চেকে ৪,০০০ টাকা পরিশোধ করা হলো।
  • মে ১৫: ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ ৫০০ টাকা।
  • মে ২০: মালিক কর্তৃক নগদ উত্তোলন ২,০০০ টাকা।
  • মে ২৫: দেনাদারের নিকট থেকে ৭,০০০ টাকার একটি চেক পেয়ে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেওয়া হলো।
  • মে ৩০: ব্যাংক চার্জ ধার্য করলো ২০০ টাকা।

করণীয়:

ক) কন্ট্রা এন্ট্রি কী? উপযুক্ত লেনদেন থেকে কন্ট্রা এন্ট্রির পরিমাণ নির্ণয় কর। (২)

খ) উপর্যুক্ত লেনদেনগুলো দ্বারা একটি উপযুক্ত নগদান বই (তিনঘরা) প্রস্তুত কর। (৪)

গ) মে ১, ৫, ১২ ও ২৫ তারিখের লেনদেনগুলোর ভিত্তিতে নগদান হিসাব, ব্যাংক হিসাব ও ক্রয় হিসাব (T ছকে) প্রস্তুত কর। (৪)

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ (রেওয়ামিল – অধ্যায় ৯)

নিচে “আরিফ এন্টারপ্রাইজ” এর ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের খতিয়ান উদ্বৃত্তগুলো দেওয়া হলো:

হিসাবের নামটাকা (BDT)হিসাবের নামটাকা (BDT)
মূলধন১,৫০,০০০বিক্রয়১,২০,০০০
আসবাবপত্র৫০,০০০ক্রয়৮০,০০০
দেনাদার৩০,০০০ভাড়া (প্রদত্ত)১২,০০০
পাওনাদার২৫,০০০বেতন (প্রদত্ত)১৮,০০০
হাতে নগদ (১.১.২৩)১০,০০০ব্যাংক জমাতিরিক্ত১৫,০০০
মজুদ পণ্য (১.১.২৩)২০,০০০অনাদায়ী আয়৫,০০০
উত্তোলন৭,০০০বকেয়া খরচ৩,০০০
কুঋণ সঞ্চিতি২,০০০সাধারণ সঞ্চিতি৬,০০০

সমন্বয়: ১. সমাপনী মজুদ পণ্য ২৫,০০০ টাকায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২. ধারে বিক্রয় ৫,০০০ টাকা হিসাবভুক্ত হয়নি।

করণীয়:

ক) কোন কোন দফা রেওয়ামিলে অন্তর্ভুক্ত হবে না তার একটি তালিকা তৈরি করে পরিমাণ দেখাও। (২)

খ) উপর্যুক্ত খতিয়ান উদ্বৃত্ত ও সমন্বয় (শুধুমাত্র ২নং) দ্বারা একটি রেওয়ামিল প্রস্তুত কর। (৪)

গ) রেওয়ামিল প্রস্তুতের উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা কর। (৪)

৯-১০ শ্রেনীর হিসাববিজ্ঞান বইটির PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুনঃ
ডাউনলোড

পরীক্ষার হলে করণীয়:

  • প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সম্পূর্ণ প্রশ্নটি একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন।
  • যে প্রশ্নগুলো সবচেয়ে ভালো পারবেন, সেগুলো আগে উত্তর করার চেষ্টা করুন।
  • প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য সময় ভাগ করে নিন।
  • অপ্রয়োজনীয় লিখে সময় নষ্ট করবেন না।
  • হাতের লেখা পরিষ্কার রাখুন এবং কাটাকাটি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
  • সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  • উত্তর লেখা শেষ হলে সম্পূর্ণ খাতাটি একবার রিভিশন দিন।

এক্সটারনাল রিসোর্স (External Resources):

  • NCTB (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) ওয়েবসাইট: (http://www.nctb.gov.bd/) – অফিশিয়াল পাঠ্যবই, সিলেবাস এবং শিক্ষাক্রম নির্দেশিকা।
  • বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট: (যেমন: ঢাকা বোর্ড, চট্টগ্রাম বোর্ড ইত্যাদি) – পরীক্ষার রুটিন, নোটিশ এবং কখনও কখনও মডেল প্রশ্ন পাওয়া যায়।
  • তোমার স্কুল শিক্ষক: যেকোনো সমস্যায় তোমার বিষয় শিক্ষকই সবচেয়ে ভালো সাহায্য করতে পারবেন।
  • এসএসসি গাইড বই ও টেস্ট পেপার: বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর ভালো মানের গাইড বই ও টেস্ট পেপার পাওয়া যায়। সেগুলো অনুশীলন করতে পারো।
  • অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম: ইউটিউব বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এসএসসি হিসাববিজ্ঞান প্রস্তুতির জন্য অনেক ভালো মানের ভিডিও লেকচার ও রিসোর্স পাওয়া যায়। (যেমন: “SSC Accounting Suggestion Bangladesh” বা “নবম দশম হিসাববিজ্ঞান” লিখে সার্চ করতে পারো)।

শেষ কথা:

এসএসসি পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞানে ভালো ফলাফল করার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত অনুশীলন এবং আত্মবিশ্বাস। এই সাজেশনটি তোমাদের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে বলে আশা করি। মনে রাখবে, কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তোমাদের সকলের জন্য শুভকামনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *